খুলনার পাইকগাছায় রোববার ভোরবেলায় সাতক্ষীরা থেকে দু'টি ট্রাকে ৪০ মে. টন খাবার অনুপযোগী মোটাচাল উপজেলা খাদ্যগুমামে পৌছালে কর্তৃপক্ষ ট্রাক থেকে আনলোড করে খাদ্যগুমামে মজুদ করছিল। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী মমতাজ বেগম তাৎক্ষণিকভাবে খাদ্যগুদামে পৌছে চাল মজুদ বন্ধ করে এ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র দেখতে চাইলে গুদামকর্তৃপক্ষ ঐ মূহুর্তে তা দেখাতে পারেনি। পরবর্তীতে ইউএনও'র নির্দেশে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মো. হাসিবুর রহমান খাদ্যগুদামে পৌছে ইনভয়েস ব্যাতিত কি ভাবে চাল আনা হলো এ-সংক্রান্ত বিষয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তিনি বলেন এ মোটাদানার নিন্মমানের চাল খাবার অনুপযোগী। খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা শিবুপদ ঘোষ জানান, ৫শ টনের প্রোগাম এর মধ্যে সাতক্ষীরা সদর থেকে রোববার সকালে দুটি ট্রাকে করে ৪০ মে. টন চাল খাদ্যগুদামে পৌছালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিদর্শন করে আনলোড বন্ধ করে দেন। কিন্তু ইনভয়েস বা কগজপত্র ব্যাতিত নিন্মমানের চাল কি ভাবে খাদ্যগুদামে পৌছালো বা কারা আনলো এ বিষয়ে বলেন, সরকারি ভাবে এ চাল আনা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, সকালে কাগজপত্র বা ইনভয়েস দেখাতে না পারলেও দুপুরের পর এ-সংক্রান্ত কাগজপত্র খাদ্যগুদামে পৌছালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তা যাচাই করে খাবার অনুপযোগী প্রমাণিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দিয়ে চাল ফেরৎ দিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম জানান, সকালে ট্রাক থেকে চাল খাদ্যগুদামে আনলোডকালে তা বন্ধ করে কাগজপত্র চাওয়াই দেখাতে পারেনি। বিকেলে কাগজপত্র দেখাতে পারলেও চাল খাবার অনুপযোগী হওয়ায় স্যাম্পল রেখে তা ফেরৎ দেওয়া হয়েছে।