ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে উপ-নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদ তিনদিন যাবত নিখোঁজ আছেন বলে পরিবারের অভিযোগের পরেরদিন সোমবার ঘটনার নতুন মোড় নিয়েছে। ইতোমধ্যে একটি অডিও ভাইরাল হয়েছে। যাতে শুক্রবার আবু আসিফের স্ত্রী মেহেরুন্নেসা তার এক কর্মচারী (ইউসুফ)ইসুকেকে ফোন করে আসিফকে কাপড় চোপড় নিয়ে বের হয়ে যাওয়ার জন্য বলছে। এই ঘটনার দুইদিন পর সাংবাদিকদের কাছে আবু আসিফের স্ত্রী অভিযোগ করেন যে আসিফকে পাওয়া যাচ্ছে না। এনিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
রোববার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে সাংবাদিকদের কাছে আবু আসিফের স্ত্রী মেহেরুন্নিছা মেহেরুন অভিযোগ করেন তার স্বামী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে উপ-নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদকে দুদিন যাবত পাওয়া যাচ্ছে না। এ সময় তিনি আরো বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে আসিফকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি কোথায় এবং কী অবস্থায় আছে তা বুঝতে পারছি না। প্রতিনিয়ত আমাদের হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে। বাড়িতে পুলিশ এসে অযথা তল্লাশি করে হয়রানি করছে। বাড়ির সামনেও কিছু পুলিশ আসা-যাওয়া করছে। তাদের ভয়ে আমি নিজেই পালিয়ে ছিলাম। আজকের মধ্যে খোঁজ না পেলে রাতেই একটা কিছু করবো। এ সময় তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তা, জেলা পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করবেন বলেও জানান।
এই ঘটনার পর রোববার রাতে আবু আসিফের স্ত্রী মেহেরুন্নেসার মেহেরুনের তার এক কর্মচারী (ইউসুফ)ইসুর সাথে একটি অডিও কথোপকথন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেখানে মেহেরুন্নেসা মেহেরুন তার এক কর্মচারী (ইউসুফ)ইসুকেকে নামের এক কর্মচারীকে কল করে তার স্যার আসিফ কোথায় আছেন জানতে চায়। পরে ি তার এক কর্মচারী (ইউসুফ)ইসুু বলেন স্যার বাসায়। পরে তাকে সব জামা কাপড় দিয়ে তারাতাড়ি দিয়ে দে। কেউ যেন না জানে সে কোথায় গেছে। তারাতাড়ি বাসার ক্যামেরা অফ করে দে। স্যার যাওয়ার ১০ মিনিট পরে ক্যামেরা অন করতে বলেন মেহেরুন্নিসা মেহেরুন।
এই ঘটনার পর থেকে আসিফকে আর কোথায় দেখা যায়নি। এর আগে আবু আসিফ স্বাভাবিকভাবেই তার নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছিল। তবে বিষয়টিকে নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ আসিফের স্ত্রীকে আইনের আওতায় নেয়ার দাবি জানিয়েছেন। এই বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে উপ-নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদ এর স্ত্রী মেহেরুন্নেসার বক্তব্য জানতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইলে কর করেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
১ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে চার প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। তারা হলেন- বিএনপির বহিষ্কৃত পাঁচবারের সাবেক সাংসদ আবদুস সাত্তার ভূইয়া, জাতীয় পার্টির প্রার্থী আবদুল হামিদ ভাষানী, জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদ। এদের মধ্যে জিয়াউল হক মৃধা প্রতীক বরাদ্দের পর বিবৃতি দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এ বিষয়ে আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগৈর সভাপতি হাজী মো.ছফি উল্লাহ িিময়া বলেন,আবু আসিফ নির্বাচন করছে এবিষয়টা আমরা বুঝতে পারি না। তিনি যখন বুঝতে পেরেছৈন যে,তার কোন জন সমর্থন নাই তখন তিনি নিজেই আত্বগোপনের পথ বেছে নিয়েছেন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য। আমি প্রশাসনের কাছে তাকে উদ্ধার করে প্রকাশ্যে আনার জন্য অনুরোধ করছি। বেসরকারী শিক্ষক কল্যাণ ট্রাষ্টের সচিব এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ শাহাজাহান আলম সাজু বলেন,সরকারকে বেকায়দার ফেলার জন্য এটি একটি নতুন ষড়যন্ত্র। প্রশাসনের নিকট আসিফকে জনসম্মুখে এনে তার মুখোশ খোলার উনেম্চনের জন্য আহবান করছি। এ ব্যাপারে স্বতন্ত্র প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তারকে ফেন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে উকিল আবদুস সাত্ত রের ছেলে পৈানে বলেন,আসিফের নিখোজের বিষঢটি আমি জানি না এবং নিজেই আত্বগোপন করেছেন শুে নছি সামাজিত যোগাযোগ মাধ্যমে।্এ বিসয়টি তাদেও নিজস্ভ বিষয়।আমি এ ব্য্পাাওে কোন মন্তব্য করব না।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহগীর ্অলম ফোনে বলেন,এ বিষয়ে আবু আসিফ নিখোজ তার স্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন,এখন শোনা যাচ্ছে তিনি নিজেই আত্বগোপনে চলে গেছেন।এ বিষয়ে প্রশাসন কোন অভিযোগ পায়নি। যদি কেউ কোন কোন অভিযোগ না দেয় তবে কি ব্যবস্থা নেওয়া যায় ? ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার শাখাওয়াত হোসেন বলেন,আমরা ওঁর নিখোজের কোন অভিযোগ পায়নি। তারপরও আমরা তাকে(আবু আসিফ)কে জনসম্মুখে আনার চেষ্টা করছি। আবু আসিফ জনসম্মুখে আসরেই তিনি কেন এমন করেছেন তিনি নিজেই বলবেন আসলে কি হয়েিেছল এবং কে হয়েছে।