কক্সবাজারের দু' উপজেলার সীমান্ত এলাকা জুম নগরে রাতের আধাঁরে ডাম্পার দিয়ে মাটি ভরাট করে ফুলছড়ি নদী দখল করে নিচ্ছে একটি প্রভাবশালী মহল। ফলে এখন এ নদীটি সরু হয়ে গেছে। দখল হয়ে গেছে কয়েক কিলোমিটার নদীর জায়গা। শুক্রবার ২৮ জানুয়ারী রাত ১ টার দিকে ইসলামপুর ইউনিয়নের বর্ণিত এলাকায় ফুলছড়ি নদীতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
জানা যায়, বর্ণিত উপজেলায় এক প্রভাবশালী মহল গভীর রাতের আধাঁরে ফুলছড়ি নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলন করেছে। ওই বালি দিয়ে জুম নগরের ব্রিজের পাশে ফুলছড়ি নদী তীরে সরকারি খাস জায়গা দখল করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রচলিত আইন ও মানবাধিকার কোনোটাই মানা হয়নি। এতে ওই এলাকার কৃষি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এলাকাবাসী বর্ষা মৌসুমে ছিটমহলের মতো সম্পূর্ণভাবে অবরুদ্ধ হয়ে মানবেতর জীবনযাপনে বাধ্য হতে পারে বলে জানা গেছে।
অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয়দের কাছ থেকে কম দামে জমি কিনে নেয়ার উদ্দেশ্যেই রাস্তা ও নদী দখল করার মতো এমন অমানবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, ফুলছড়ি নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করছে বহু মানুষ। প্রকাশ্য দিবালোকে ড্রেজার দিয়ে নদী ভরাট করা হলেও প্রশাসন কিছুই বলছে না। প্রশাসনকে ম্যানেজ করে প্রভাবশালী মহল ফুলছড়ি নদী ও আশপাশের জায়গা দখল করে নিচ্ছে।
নদী দখল বন্ধ করতে প্রশাসনকে অবশ্যই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে অপরাধী ও সমাজবিরোধীরা যে বেপরোয়া হয়ে উঠবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। মনে রাখতে হবে-দুষ্টের দমন, শিষ্টের প্রতিপালন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হলে রাষ্ট্রের সামগ্রিক আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা বিনষ্ট হতে বাধ্য। স্বাধীন দেশে এ রকম অবস্থা যাতে সৃষ্টি না হয়, সেজন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এমনটাই প্রত্যাশা করেন স্থানীয়রা।
রাতে কে বা কাহারা নদী দখল করেছে জানতে স্থানীয় এমইউপি সদস্য আব্দু শুক্করের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুঠোফোনে বলেন, আমি ঢাকায় আছি। কারা নদী দখল করছে জানি না।
নদী দখলের বিষয় জানতে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেপি দেওয়ান ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ রাহাত উজ জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুঠোফোনে বলেন, নদী দখলকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয় জানতে কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক ফরিদ আহমেদ এর মোবাইলে একাধিকবার কল দিয়েও ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে নদী দখল বন্ধ করা ও দখলকারী প্রভাবশালী বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসন হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয় ভূক্তভোগী এলাকাবাসী।