আশাশুনি সদরের সীমান্তবর্তী কালিবাড়ি বাজারের স্কুল মোড়ে সমিতির নামে সুদী কারবারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উচ্চ সুদী কারবারে অনেকে সর্বশান্ত হচ্ছে।
সরকারি বিধি নিষেধ অমান্য করে স্কুল মোড়ে জুতার দোকান বসিয়ে ব্যবসার অন্তরালে জনৈক ব্যক্তি সুদী কারবার চালিয়ে আসছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক সদস্য জানান, সমিতির কোন নাম নেই, কেবল সমিতির নাম পরিচয় দিয়ে সদস্য সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। ইতোমধ্যে ৭০/৮০ জন সদস্য তৈরি করা হয়েছে। কোন কমিটি বা লিখিত নিয়মনীতির বালাই নেই সেখানে। নিজেই কর্ণধার, নিজেই আদায়কারী। প্রতিদিন সদস্যদের কাছে গিয়ে তিনি টাকা আদায় করে থাকেন। প্রত্যেক সদস্য ২০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা করে জমা দিয়ে থাকেন। আদায়কারী তার খাতায় টাকার হিসেব লিখে টাকা গ্রহণ করে থাকেন। সদস্যদেরকে কোন রশিদ দেওয়া হয়না। সদস্যরা নিয়মিত সঞ্চয় জমা করার পর ঋণ নিতে পারে। ঋণ নিলে প্রতি হাজারে মাসে ৫০ টাকা করে লাভ দিতে হয়। লাভের টাকা বছর শেষে হিসেব করে সদস্যদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়ার নিয়ম থাকলেও খুবই সীমিত পরিমাণ লাভ দেওয়া হয়ে থাকে। প্রতি মাসে হাজারে ৫০ টাকা আদায় করা হলেও বছরে ৭০ টাকা করে লাভ দেওয়া হয়েছে বলে সদস্যরা জানান। সরকারি নিয়মনীতির প্রতি ভ্রুক্ষেপ না করে সুদি কারবার পরিচালনা করা হচ্ছে। আবার গ্রাহক/সদস্যদেরকে ঠকানো হচ্ছে বলে গ্রাহকরা অভিযোগ করেন। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখার জন্য প্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সুদী কারবারীর সাথে কথা বলতে যোগাযোগ করা হলেও পাওয়া যায়নি।