গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় সরকারি বই বিক্রির প্রতিবাদ ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের দাবীতে আন্দোলন অব্যাহত থাকার পর্যায়ে চালানবিহীন বিপুল পরিমাণ সরকারি বই মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কর্তৃক গ্রহণ করার পিছনের রহস্য নিয়ে ধু¤্রজাল সৃস্টি হয়েছে।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার মাধ্যমিক স্তরের ঘাটতি বই পুরনের জন্য ট্রাক যোগে চালান সহ ১১ হাজার ৫০০ বই সরবরাহ করা হয়। ট্রাক থেকে বই গুলো নামানোর সময় দেখা যায় ৯ হাজার ৫০ টি ৭ম শ্রেণির চালান বিহীন সরকারি বই। ওই বই গুলো চালান বিহীন হওয়ায় মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের হিসাব রক্ষক আবদুর রউফ গ্রহণে অসম্মতি জ্ঞাপন করলে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মু: মাহমুদ হোসেন মন্ডল তাকে ধমক দিয়ে তা গ্রহণে বাধ্য করেন। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানতে পারলে তিনি তাৎক্ষনিকভাবে বইয়ের গোডাউন পরীক্ষা করে এর সত্যতা খুজে পায়। এদিকে স্থানীয় সুধী মহল বলছেন সরকারি বই বিক্রি নিয়ে মুল আসামি সনাক্ত ও গ্রেপ্তার এখনও হয়নি। অথচ এতগুলো সরকারি বই চালান ছাড়াই প্রেরণ ও গ্রহণ রহস্যজনক। তারা এর প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোরালো দাবী জানিয়ে আরো বলেন, সারা দেশে মাধ্যমিক স্তরের বিভিন্ন শ্রেণিতে এ পর্যন্ত যেখানে পুরো সেট বই প্রদান করা সম্ভব হয়নি সেখানে সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ৭ম শ্রেণির এত বড় চালান বিহীন বইয়ের সরবরাহ কিভাবে হলো তা বোধগম্য হচ্ছে না। এনিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মু: মাহমুদ হোসেন মন্ডল মুখ খুলতে চাচ্ছেন না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল-মারুফের সঙ্গে মুঠো ফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।