ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ১৫০ টি বিদ্যালয়ে মধ্যে ৪৫ টি বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক। ঐসব বিদ্যালয় গুলোতে একজন সহকারী শিক্ষককে প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্ব দিয়ে রাখা হয়েছে। এ কারণে ঐ সহকারী শিক্ষককে প্রশাসনিক কাজেই বেশি ব্যাস্ত থাকতে হয়। বাকি সহকারী শিক্ষকদের সামলাতে হয় পাঠদান কার্যক্রম সহ পুরো বিষয়। এতে ব্যাহত হচ্ছে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় গুলোর শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম।
কালীগঞ্জ উপজেলার ৪৫ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ অবসর গ্রহন ও বদলী জনিত কারণে দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। এই উপজেলার সানবান্ধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদে চলতি দায়িত্বে আছেন ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক মো. বসির আহম্মেদ। প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থাকা সহকারী এই শিক্ষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদটি শূন্য থাকায় গত ৩ বছরের অধিক সময় ধরে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন।একই সাথে তাকে প্রশাসনিক দায়িত্বপালন করতে হয় আবার ক্লাসও নিতে হয়। প্রশাসনিক কাজে বা বিভিন্ন সভায় যোগদান করতে তাঁকে প্রতি মাসেই যেতে হয় উপজেলায়। তখন তিনি ক্লাস নিতে পারেন না। এর ফলে বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পাঠদান কিছুটা ব্যাহত হয়।
কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সেলিনা আক্তার বানু জানান, নানা কারণে প্রধান শিক্ষকের পদ গুলো খালি রয়েছে। আমি ঐসব বিদ্যালয়ের তালিকা করে আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবগত করেছি। এটা শুধু এই উপজেলার সমস্যা নয়,দেশের অন্যান্য উপজেলা গুলোতেও প্রধান শিক্ষক সংকট রয়েছে। আশা করছি আমার উপজেলা সহ অন্যান্য উপজেলাগুলোতেও দ্রুত এই সংকট দূর হবে।