রাজবাড়ীতে প্রাইভেটকার সহ চোর চক্রের চার সদস্যকে
গ্রেপ্তার করেছে রাজবাড়ী সদর থানা পুলিশ।শনিবার বেলা সাড়ে এগারটায় সদর থানায় এ
বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে থানা পুলিশ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ
সুপার সদর সার্কেল মোহাম্মদ ইফতেখারুজ্জামান ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন।
সংবাদ সম্মলনে রাজবাড়ী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মোহাম্মদ
ইফতেখারুজ্জামান জানান,গত ২৯ জানুয়ারী রাজবাড়ী সদর উপজেলার রাজবাড়ী ও কুষ্টিয়া
আঞ্চলিক সড়ক সংলগ্ন হাসান মিয়ার ইট ভাটার পাশে পলাশ খন্দকারের বাড়ির সামনে
রাখা প্রাইভেটকার চুরি হয়।চুরির ঘটনায় সদর থানায় বাদি হয়ে অনলাইনন জিডি করে
গাড়ির মালিক পলাশ খন্দকার।জিডির ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে থানা পুলিশ।এসময় গোপন
সংবাদের ভিত্তিতে রাজবাড়ী সদর থানার পুলিশ সদস্যরা অভিযান চালিয়ে মেজবাহ
উদ্দিন নামে একজন মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়।তার তথ্য অনুযায়ী
আশুলিয়া থানা এলাকা থেকে সেলিম ও প্রকাশ বাবু ওরফে বাবুকে গ্রেপ্তার করাহয়।এই
সেলিম ও বাবুর তথ্য মতে নরসিংদী জেলা থেকে লিখন ওরফে নয়ন ও রিফাত নামে দুইজনকে
প্রাইভেটকার সহ গ্রেপ্তার করা হয়।প্রাইভেটকারটি রিফাতের কাছ থেকে উদ্ধার করা
হয়।
আসামী মেবাউদ্দি (৩৬) বাড়ি ফরিদপুরের সালথা থানার বড় লক্ষনদিয়া গ্রামের মো.
সিরাজুজ ইসলামের ছেলে।তিনি রাজবাড়ী জেলা শহরের সজ্জনকান্দা হাফেজিয়া মাদ্রাসার
শিক্ষক।প্রকাশ বাবু (৪০) একই জেলার কোতোয়ালি থানার কইজুরী ইউনিয়নের
তাম্বুলখানার মৃত রব হাওলাদারের ছেলে।লিখন ওরফে নয়ম মিয়া যশের জেলার চৌগাছা
থানার কুলিয়া গ্রামের আবদুর রাজ্জাক মিয়ার ছেলে।রিফাত হোসেন (২২) নরসিংদিী
জেলারা শিবপুর থানার পুঠিয়া ইউনিয়নের তেলিয়া বাজার এলাকার আলী হোসেনের ছেলে।
মাদ্রসা শিক্ষক মেজবাহ উদ্দিন গ্রেপ্তার কৃত সকলকে গাড়ি চুরির তথ্য দিয়ে
আছিলো।এ তথ্যের ভিত্তিতে সবাই একত্র হয়ে প্রাইভেটকার,মাইক্রোবাস,সিএনজি সহ
বিভিন্ন ধরনের গাড়ি চুরি করে বিক্রি করত,অনেক সময় গাড়ির পার্স খুলেও বিক্রি
করত তারা। এ ছাড়া এই গাড়ি দিয়ে বিভিন্ন জেলায় চুরি ডাকাতিও করা হত বলে জানান
তিনি প্রেস ব্রিফিংয়ে।