নিয়ামতপুরে কয়েকদিনের ব্যবধানে পরপর ২টি কষ্টি পাথরের মূর্তি উদ্ধার করেছে র্যাব সদস্য ও নিয়ামতপুর থানা পুলিশ। একই এলাকা থেকে এমন দুটি মূর্তি উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এমন মূল্যবান মূর্তি পাঁচারকারীরা এলাকায় বেশ সক্রিয় এবং তাদের একটি সংঘবদ্ধদল রেেয়ছে। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে খতিয়ে দেখা দরকার সংশ্লিষ্টদের।
জানা যায়, শনিবার সন্ধায় গোপন সংবাদের ভিত্তিেিত উপজেলার শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের বরেন্দ্র বাজার এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি কষ্টি পাথরের গণেশ মূর্তি উদ্ধার করেছে নিয়ামতপুর থানা পুলিশ। যার ওজন ২কেজি ১৭০গ্রাম। আনুমানিক মূল্য প্রায় ২০লক্ষ টাকা। তবে এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
এর আগে মঙ্গলবার রাতেও একই এলাকার একটি বসত বাড়ি থেকে কষ্টি পাথরের মূর্তি উদ্ধার করে র্যাব সদস্যরা। এ সময় ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, চাঁপাউনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর পৌরসভার চিনিয়াতলা গ্রামের মৃত সেকেন্দার আলীর ছেলে সেতাউর রহমান (৪২), নন্দীপুর ইউনিয়নের আসানপুর গ্রামের মৃত চঁন মোহাম্মদের ছেলে আবদুল খালেক (৫৩) ও পার্বতীপুর ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামের মৃত আলতাব হোসেনের ছেলে নজরুল ইসলাম (৬৩)। র্যাবের উদ্ধারকৃত মূর্তিটির ওজন ছিলো ১ কেজি ৭০০ গ্রাম। যার অনুমানিক মূল্য প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান জানান. মঙ্গলবারের মূর্তি উদ্ধারের ঘটনায় র্যাবের পক্ষ থেকে একটি মামলা দিয়ে গ্রেপ্তারকৃতদের থানায় সোপর্দ করা হয় এবং ধৃত ব্যক্তিদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। শনিবারও ওই এলাকা থেকে কষ্টি পাথরের গনেষ মূর্তি উদ্ধার করে নিয়ামতপুর থানা পুলিশ। উদ্ধারকৃত মূর্তি দুটি থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।