ট্রেনে গান গেয়ে চলে অন্ধ আরিফের ৫ সদস্যের সংসার। জন্মগতভাবে সে অন্ধ। ৩০ বছর থেকে ট্রেনে গান করে। ট্রেনের যাত্রীরা তার গান শুনে খুশি হয়ে যে, যা দেন, এতেই সে খুশি। কার কাছে থেকে চেয়ে নেয় না। এভাবে প্রতিদিন ২৫০-৩০০ টাকা আয় হয়।
আরিফ বাগমারা উপজেলার বীরকুৎসা গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে। আরিফ প্রতিদিন পার্বত্যপুর থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী আপ এবং ডাউন উত্তরা ট্রেনে গান করে। তার সাথে কথা হয় রোববার (৫ ফেব্রুয়ারী) আড়ানী রেল স্টেশনে।
এ বিষয়ে আরিফ জানান, আমার পিতার বীরকুৎসা বাজারে ফুটপাতে একটি পান সিগারেটের দোকান রয়েছে। মা আফিয়া বেগম ঝি-এর কাজ করে। ছেলে সালমান হোসেন স্থানীয় স্কুলে নবম শ্রেণিকে লেখাপড়া করে। ট্রেনে গান গেয়ে যে আয় হয়, সেই টাকা দিয়ে কোন মতে সংসার চলে।
আড়ানী রেল স্টেশনের উত্তরা ট্রেনের যাত্রী নাসির উদ্দিন বলেন, আরিফ ১০-১২ বছর বয়স থেকে উত্তরা ট্রেনে গান গায়। গান গেয়ে যে আয় হয়, তা দিলেই চলে তার সংসার।
উত্তরা ট্রেনের টিকিট পরিদর্শক আমির আহম্মেদ বলেন, সে গরীব মানুষ, কারও কাছে থেকে চেয়ে কোন টাকা নেয় না, তার গান শুনে খুশি হয়ে যে, যা দেয়, সেটা নেয়। তবে তার কাছে থেকে কোন ভাড়া নেওয়া হয় না।
আড়ানী স্টেশন মাষ্টার সদরুল হোসেন বলেন, অন্ধ আরিফকে অনেক দিন থেকে চিনি। সে অনেক দিন থেকে উত্তরা ট্রেনে একতার ও হাত ডুকি নিয়ে গান করে।