অত্যাধুনিক রাইস ট্রান্সপ্লান্ট মেশিনের মাধ্যমে শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ধানের চারা রোপণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। গত রোববার দুপুরে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলার ধানশাইল গ্রামে এক অনুষ্ঠানে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ি শেরপুরের উপণ্ডপরিচালক ড. সুকল্প দাস।
উপজেলা কৃষি অফিসার হুমায়ুন দিলদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কৃষি প্রকৌশলী শিবানী রাণী নাথ, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ফরহাদ হোসেনসহ কৃষি অফিসের উপণ্ডসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও কৃষক-কৃষাণীগণ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার জানান, সনাতন পদ্ধতিতে ১ একর জমিতে ধানের চারা রোপণে খরচ পড়ে ১০ হাজার টাকা। আর যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ‘রাইস ট্রান্সপ্লান্টার’ মেশিনের মাধ্যমে খরচ হবে আড়াই হাজার টাকা। এ ছাড়া ১ একর জমিতে ধানের চারা রোপণে দিনে ২০ জন শ্রমিক লাগলেও রাইস ট্রান্সপ্লান্টার মেশিনে সময় লাগবে একঘন্টা। তিনি আরো জানান, উপজেলায় এবার প্রথমবারের মতো রাইস ট্রান্সপ্লান্ট-এর সহায়তায় ধানের চারা রোপণ শুরু হয়েছে। ঝিনাইগাতী উপজেলার ধানশাইল গ্রামের বেশকিছু কৃষক সমালয় পদ্ধতিতে জমিতে বোরো ধান আবাদের উদ্যোগ নিয়েছেন। প্রথম পর্যায়ে কৃষকদের কোন খরচ লাগছেনা। ধান, বীজসহ সব খরচ সরকার বহন করছে। একটি রাইস ট্রান্সপ্লান্টার মেশিনের দাম ১৪ লাখ টাকা, কিন্তু কৃষক ৭ লাখ টাকা দিলেই পেয়ে যাচ্ছে এই মেশিন। বাকি ৫০ ভাগ খরচ ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার।