সরকারের পক্ষ থেকে গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে খোলাবাজারে (ওএমএস) চাল ও আটা বিক্রির কার্যক্রম শুরু করে তার আওতা আরো বাড়ানো হয়। আর আগের চেয়ে ওএমএসের কেন্দ্র বাড়ানোর ফলে চালের যে বরাদ্দ ঠিক করা হয়েছিল ইতোমধ্যে তার চেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে। এবার আমন উৎপাদন ভালো হওয়ায় এখন চালের আওতা আরো বাড়ানো হয়েছে। সেজন্যই খাদ্য অধিদপ্তর সম্প্রতি চালের বরাদ্দ বাড়িয়েছে আরো ২ লাখ টন। কিন্তু বৈশ্বিকভাবেই গমের সংকট এবং দেশে কম উৎপাদন হওয়ায় ওএমএসে গমের বরাদ্দ ২৫ হাজার টন কমিয়ে দেয়া হয়েছে। খাদ্য অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, সরকার দেশের সব সিটি করপোরেশন, শ্রমঘন ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও নরসিংদীর পুরো জেলায় এবং সব জেলার সদর পৌরসভা এবং ক, খ ও গ শ্রেণীর পৌরসভাগুলোয় বর্তমানে ওএমএসের মাধ্যমে চাল ও আটা বিক্রি করছে। সব মিলিয়ে সারা দেশে মোট ২ হাজার ৪১৭টি কেন্দ্রে দৈনিক ২ হাজার ৭৯৬ টন চাল ও ৯৩৭টি কেন্দ্রে ৯৩০ দশমিক ৫ টন আটা বিক্রি করা হচ্ছে। শুরুর দিকে ঢাকা মহানগরীতে ৫০টি ট্রাকে করে ওএমএস কার্যক্রম পরিচালনা করা হতো। গত ১১ ডিসেম্বর থেকে নতুনভাবে আরো ২০টি ট্রাক যুক্ত হয়। বর্তমানে রাজধানীর ১৪৭টি দোকান, ৭০টি ট্রাক ও ইনোভেশনের আওতায় ৩টি কেন্দ্রে ওএমএস কার্যক্রম চলমান। ওই কেন্দ্রগুলোয় দৈনিক ৩৪৮ টন চাল ও ২২০ দশমিক ৫ টন আটা বিক্রি করা হয়। ভোক্তারা প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা ও ১৮ টাকা কেজি দরে আটা কিনতে পারছে। তবে গত নভেম্বরে আটার দাম আরো ৬ টাকা বাড়িয়ে দেয়া হয়। তখন থেকে খাদ্যপণ্যটি ২৪ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। সূত্র জানা, ওএমএস কার্যক্রমে ২০২২-২৩ অর্থবছরে চালের বার্ষিক বরাদ্দ সাড়ে ৩ লাখ টন ধরা হয়েছিল। আর গমের বরাদ্দ ধরা হয়েছিল সোয়া ৪ লাখ টন। কিন্তু ওএমএসের আওতা বাড়ায় সম্প্রতি চালের বরাদ্দ ২ লাখ টন বাড়িয়ে সাড়ে ৫ লাখ টন করা হয়েছে। আর গমের বরাদ্দ ২৫ হাজার টন কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে ৩ লাখ টন। এ বিষয়ে খাদ্য অধিদপ্তরের সরবরাহ, বণ্টন ও বিপণন বিভাগের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) তপন কুমার দাস জানান, ওএমএসের বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। চাল করা হয়েছে সাড়ে ৫ লাখ টন। আর গমের ক্ষেত্রে তা ২৫ হাজার টন কমানো হয়েছে। ওএমএসের মাধ্যমে প্রতিজন সর্বোচ্চ ৫ কেজি চাল ও ৪ কেজি আটা নিতে পারেন।