দেবহাটায় কুকুরের ভ্যাক্সিন কার্য্যক্রম আগামী বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারী) থেকে শুরু হয়ে চলবে ১৪ তারিখ পর্যন্ত। এই বিশেষ কর্মসূচিতে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের প্রতিটি এলাকায় এক্সপার্টদের একাধিক টিম কুকুর ও বিড়াল খুঁজে বের করে প্রতিরোধক ভ্যাক্সিন প্রদান করবেন। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারী) দেবহাটা উপজেলায় ব্যাপকহারে কুকুরের টিকাদান (এমডিভি) কার্য্যক্রম বাস্তবায়ন করতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলনায়তনে অবহিতকরণ সভা ৭ ফেব্রুয়ারী, ২৩ ইং সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সভাকক্ষে ওই অবহিতকরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ¦ মুজিবর রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবদুল লতিফ। উপস্থাপনায করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ বিপ্লব মন্ডল। বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ তহিদুল ইসলাম, উপজেলা শিক্ষা অফিসার শাহজাহান আলী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (এমডিভি) কার্য্যক্রমের ফিল্ড সুপারভাইজার কাওসার আহমেদ।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক বাবু, দেবহাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি খায়রুল আলম, দেবহাটা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পদাক রফিকুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (এমডিভি) কার্য্যক্রমের ফিল্ড সুপারভাইজার জনকল্যান চক্রবর্তীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ। বক্তরা বলেন, জলাতঙ্ক একটি ভয়ংকর মরণব্যাধি। এ রোগের মৃত্যুর হার শতভাগ। জলাতঙ্ক রোগ মুলত কুকুরের কামড় বা আচঁড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। এ ছাড়া বিড়াল, শিয়াল, বেজি, বানরের কামড় ও আঁচড় থেকে হতে পারে। বাংলাদেশে ২০১০ সালের আগে প্রতিবছর প্রায় ২ হাজারের বেশি মানুষ জলাতঙ্কে মারা যেত এবং গবাদী পশুর মৃত্যুর সংখ্যা অগণিত ছিল। ২০১১ সাল থেকে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ বিশেষ কর্মসূচির মাধ্যমে এটি ২০১৬ সালে ৯০% এর নিচে নামিয়ে আনে। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে জলাতঙ্কমুক্ত করতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহন করেছেন। যার মধ্যে ভ্যাক্সিন কার্যক্রম অন্যতম। জলাতঙ্ক একটি তীব্র ভাইরাল সংক্রমণ যা প্রায় সবসময়ই মারাত্মক।