বেনাপোলে লাগেজ পার্টির অপতৎপরতা বেড়েছে। প্রতিনিয়ত লাগেজে করে ভারত থেকে বিভিন্ন ধরণের পণ্য নিয়ে আসা হচ্ছে। বিজিবি সদস্যরা অবৈধ লাগেজ পণ্য ধরলে সাংবাদিক পরিচয়ে তা ছেড়ে দিতে হুমকি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিজিবি সদস্যরা।
এ বিষয়ে ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আইসিপি চেকপোস্ট ক্যাম্পের নায়েক নজরুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিক পরিচয়দানকারী মিঠু নামে একজন লাগেজে পণ্য নিয়ে যেতে প্রস্তাব করে। আমরা তার প্রস্তাবে রাজি না হলে তিনি বিভিন্ন গণমাধ্যমে নিউজ করার হুমকি দিয়ে চলে যান।
বেনাপোল বন্দরের লেবার হাসানুজ্জামান হাসান বলেন, আমরা এখানে সাধারণ শ্রমিক, আমরা ব্যাগ টেনে এক থেকে দেড়শ টাকা করে পাই, আমরা কোন পাসপোর্ট যাত্রীর কাছ থেকে কোন রকম বাড়তি টাকা পয়সা নিই না। তাছাড়া বিজিবির সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক ও লেনেদেন নেই।
অপর লেবার হারুন বলেন, কিছু সাধারণ যাত্রী আসে তাদের মাল ট্যাক্স করে নিয়ে আসা হয়। ২০ কেজি মালের স্থলে ৪০ কেজি থাকলে যাত্রীরা কাস্টমে বাড়তি ট্যাক্স ও ভ্যাট দিয়ে মাল নিয়ে যায়। সাংবাদিক পরিচয় দানকারী মিঠু আমাকে বলেন, ভারত থেকে মেডিসিন পার করে দিতে হবে। তখন আমি তাকে জানায় মেডিসিন বেআইনি পণ্য। আমরা মেডিসিন পার করতে পারবো না। এখানে গোয়েন্দা সংস্থা আছে।
ঢাকার টঙ্গীর পাসপোর্ট যাত্রী প্রমিলা বলেন, বিজিবির চেকপোস্টে আমাকে হয়রানি করেনি, তারা আমার ল্যাগেজ নিয়ম মাফিক চেক করেছেন।
এ বিষয়ে যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পরিচালক মেজর সেলিমউদ্দোজা বলেন, বিজিবির সদস্যরা লাগেজে চোরাচালানরোধে ভূমিকা রাখছে। প্রতিনিয়ত পণ্য আটক করা হচ্ছে। তবে সাংবাদিক পরিচয়দানকারী মিঠু নামে একজন আমাদের সদস্যদেরকে তার অবৈধ পণ্য ছেড়ে দেওয়ার জন্য হুমকি দিয়েছে বলে জেনেছি। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি আসলে ওই নামে কোন প্রকৃত সাংবাদিক নেই। চোরাকারবারীরা সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে জানতে মিঠুর কাছে ফোন করা হয়। তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি বিজিবির অনিয়মের বিরুদ্ধে খবর লিখেছিলাম। এরপর থেকে আমার নামে মিথ্যা রটানো হচ্ছে।