কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের ইটভাটা গুলো সরকারী নিষেধাজ্ঞা তোয়াক্কা না করে মাটি কাঁটার মহোৎসবে মেতে উঠেছে। ইটভাটর মৌসুম শুরুর মাস খানেক মাটি কাটা ও বহন বন্ধ থাকলেও হঠাৎ করে কয়েকদিন ধরে যেন মাটি কাটা ও বহন করার ধুম পড়ে গেছে। প্রতিদিন দিনে এবং রাতে সমানতালে শ্যালো ইঞ্জিন চালিত অবৈধ যান এবং ড্রাম ট্রাকে করে মাটি সংগ্রহ করা হচ্ছে। মাটিবাহী এসব শ্যালো ইঞ্জিন চালিত অবৈধ যান এবং ড্রাম ট্রাক বে-পরোয়াভাবে চলাচল করায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা এবং অতিরিক্ত ওজন বহন করায় সড়কের বিভিন্ন স্থানে ফাটল এবং গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় সড়কে চলাচলকারী সাধারন মানুষকে পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পরিবেশ আইন লংঘন করে এবং সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে কৃষি জমিতে মোট ৩১ টি ইটভাটা স্থাপন করা হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর কুষ্টিয়ার তথ্যমতে এসকল ইট ভাটার কোন অনুমতি বা লাইসেন্স নাই। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ইটভাটা মালিক জানান, মাটি না কাটলে ইট তৈরী ব্যাহত হবে এবং ইটের দাম বেড়ে যাবে। তাই তিনি লেখালেখি না করার অনুরোধ জানান। তাছাড়া এ সকল ইট ভাটায় জ্বালানী হিসাবে কয়লার পরিবর্তে প্রতিদিন কয়েক‘শ টন কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। যে কারণে, গাছপালা উজাড় হয়ে পরিবেশের ভারসাম্য হারিয়ে বিপর্যয় ঘটাচ্ছে। উপজেলার স্বাস্থ্য কেন্দ্র সংলগ্ন, দৌলতপুর খান পাড়া, সাদিপুর, স্বরুপপুর, চক দৌলতপুর, ডাংমড়কা এলাকায় বেশীরভাগ ইটভাটা স্থাপন করা হয়েছে। জনবসতিপূর্ণ ও দুই/তিন ফসলি জমিতে এ সকল ইটভাটা তৈরী করা হয়েছে বলে কৃষি সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। ইটভাটায় মাটি বহন ও কাঠ পোড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল জব্বার জানিয়েছেন, এ বিষয়ে অভিযান চলমান রয়েছে।