কুমিল্লা শিক্ষবোর্ডের অধীনে ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার ১০টি কলেজ থেকে ১৬৭৩জন পরিক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ১৪০৮জন,পাসের হার ৮৫.১৭% জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৮০জন। ৫টি মাদ্রসা থেকে মোট ২৩৮জন পরিক্ষা দিয়ে পাস করেছে ২৩৭জন,পাসের হার ৯৯.৫৮% জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪জন। দুটি কারিগরি স্কুল এ- কলেজ থেকে ১২৪ জন পরিক্ষা দিয়ে পাস করেছে ১১৮জন, পাসের হার ৯৫.১৬% জিপিএ-৫পেয়েছেন ১৪ জন। এর মাঝে জিনদপুর স্কুল এ- কলেজ থেকে ৮জন ও কৃষ্ণনগর আবদুল জব্বার স্কুল এ- কলেজ থেকে ৭ পরিক্ষায় অংশ নিয়ে কেউ পাস করেনি। তবে চমক দেখিয়েছে ব্যারিস্টার জাকির আহম্মেদ কলেজ ও বিটঘড় দানবীর মহেশ চন্দ্র ভট্টাচার্য্য বিদ্যাপিট।
জানাযায়, ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষায় জিনদপুর স্কুল এ- কলেজ ও কৃষ্ণনগর আবদুল জব্বার স্কুল এ- কলেজ থেকে কেউ পাস না করলেও চমক দেখিয়ে নবীনগরে প্রথম স্থানে রয়েছে ব্যারিস্টার জাকির আহম্মেদ কলেজ, ৩২৮জন পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৩১৭ জন পাস করেছে, পাসের হার ৯৬.৬৬% জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮৮জন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিটঘড় দানবীর মহেশ চন্দ্র ভট্টাচার্য্য বিদ্যাপিট, ৮৭ পরিক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৮৪জন, পাসের হার ৯৬.৫৫ জিপিএ-৫পেয়েছে ১৭জন। শ্যামগ্রাম মোহিনী কিশোর স্কুল এ- কলেজ পাসের হার ৮৮.৮৯% জিপিএ ৫ পেয়েছে ৪জন। সুর স¤্রাট আলউিদ্দিন খাঁ কলেজ পাসের হার ৮৮.৫৭% জিপিএ ৫ পেয়েছে ০৫জন। সলিমগঞ্জ কলেজ পাসের হার ৮৮.১৪ জিপিএ ৫ পেয়েছে ৫০জন। নবীনগর সরকারী কলেজ ৭৭.৮৭% জিপিএ ৫ পেয়েছে ২৩জন। নবীনগর মহিলা কলেজ পাসের হার ৬৪.২১% জিপিএ ৫ পেয়েছে ৮জন। বীরগাঁও স্কুল এ- কলেজ থেকে ১জন পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে।
অপর দিকে আলিম পরিক্ষায় ৫টি মাদ্রসা থেকে মোট ২৩৮জন পরিক্ষা দিয়ে পাস করেছে ২৩৭জন,পাসের হার ৯৯.৫৮% জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪জন। নারায়ণপুর ডিএস কামিল মাদ্রাসা থেকে ৯৩জন পরিক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাস করে ৮টি জিপিএ-৫ নিয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে। সুফিয়াবাদ শাহসূফি আলিম মাদ্রাসা শতভাগ পাস,জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩জন। দৌলতপুর কাসেমুল মাদ্রাসা শতভাগ পাস। বার আউলিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা শতভাগ পাস নিয়ে ১জন জিপিএ-৫ পেয়েছে,লাউর ফতেহপুর তুজুমিয়া আলিম মাদ্রাসা পাসের হার ৯৭.২২% জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন।
তোফায়েল আলী কারিগরি স্কুল এ- কলেজ, পাসের হার ৯৫.৮৩%, জিপিএ-৫পেয়েছে ১৪জন। আলিমউদ্দিন জোবেদা কলেজ পাসের হার ৯৪.২৩%।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোকাররম হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, জিনদপুর স্কুল এ- কলেজ ও কৃষ্ণনগর আবদুল জব্বার স্কুল এ- কলেজ থেকে ১৫জন পরিক্ষায় অংশ নিয়ে কেউ পাস করেনি। ফলাফল কেন এমন হলো, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুটির অধ্যক্ষের কাছে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হবে। এই দুটি প্রতিষ্ঠানের নবীনগরে পাসের হার কমে গেছে, এ বিষয়ে প্রকৃত কারণ খুঁজে দেখা হবে।