যশোরের মণিরামপুরে পুলিশের উপর হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে মিছিল মিটিং করার অভিযোগ তুলে মণিরামপুর থানা বিএনপির আহ্বায়ক এ্যাড. শহীদ মোঃ ইকবাল হোসেন, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপি নেতা আলহাজ¦ মোহাম্মাদ মুছা, মফিজুর রহমান মফিজ, বিএনপি নেতা ডা. আলতাফ হোসেন, এ্যাড. মকবুল ইসলাম, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক খায়রুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল হাই, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান মিন্টুসহ বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের ৪১ নেতা-কর্মীকে আসামি করে মণিরামপুর থানা পুলিশ মামলা করেছে। যার মামলা নং-১২, তারিখ ০৮/০২/২৩ইং।
পুলিশ এ মামলায় ৬ জনকে আটক করেছেন। বুধবার রাতে থানার উপপরিদর্শক সুমন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এ মামলায় আটক করা হয়েছে বিএনপি নেতা আনছার আলী (৪৮), আজিজুর রহমান (৪২), রোস্তম আলী (৪০), যুবদল নেতা বিল্লাল হোসেন (৩৮), বিএনপি নেতা সিদ্দিকুর রহমান (৫৮) এবং মাহাবুবুর রহমান (৪২)। এ মামলায় অজ্ঞাত আসামি হিসেবে আরো অনেককে রাখা হয়েছে।
পুলিশ দাবী করেছেন বুধবার সন্ধ্যয়ি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহীদ ইকবাল হোসেনের মণিরামপুর পৌরশহরস্থ বাড়িতে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে মিটিং করছিলেন। পুলিশ সেখানে দায়িত্ব পালন করতে গেলে পুলিশের উপর তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। একপর্যায়ে তল্লাশি করে সেখান থেকে অবিস্ফোরিত তিনটি ককটেল উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ দাবী করেছেন।
এদিকে মামলা দায়েরের পর মণিরামপুর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে রয়েছেন। উপজেলার বিএনপির আহ্বায়ক এ্যাড. শহীদ ইকবাল হোসেন জানান, বুধবার থানা থেকে মৌখিক অনুমতি নিয়ে দলীয় মিটিং করা হচ্ছিলো। এ সময় পরিকল্পিতভাবে পুলিশ মিটিংয়ে হানা দেয় এবং দলীয় ৭/৮ নেতাকর্মীকে আটক করে থানায় নেয় তারা। পরে জানলাম একটি সাজানো মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মনিরুজ্জামান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন আটকদের বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।