নওগাঁর মান্দা উপজেলার আত্রাই নদীর ইজারা নেওয়া বালুমহালের ভাটি অংশ থেকে বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে। এতে নির্ধারিত মৌজা থেকে বালু উত্তোলন করতে না পারায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন ইজারাদার। ইজারাদারের অভিযোগ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাঝে মধ্যেই মৌখিক নির্দেশ নিয়ে বালু উত্তোলনে বাধা প্রদান করছেন। একই সঙ্গে অভিযান দিয়ে ইজারা নেওয়া মৌজা থেকে বালু ও মাটি পরিবহনের ট্রাক্টরও জব্দ করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে মান্দা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন আত্রাই নদীর ভাটি অংশের বালুমহালের ইজারাদার নাকিব ইন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী রহমতুল্যা মোল্লা। লিখিত বক্তব্যে ইজারাদার রহমতুল্যা মোল্লা বলেন, দরপত্রের মাধ্যমে আত্রাই নদীর ভাটি অংশের বালুমহাল বাংলা ১৪২৯ সনের জন্য ৭৩ লাখ ২৫ হাজার ৭৫০ টাকায় ইজারা নেন। দরপত্রে ১১টি মৌজায় জমির পরিমাণ ছিল ৩৪৬ দশমিক ৩০ একর। ইজারাদার অভিযোগ করে বলেন, ইজারা নেওয়া এলাকায় বালু উত্তোলনের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম বেলচা, কোদাল ও ডালি ব্যবহার করতে দেওয়া হচ্ছে না। পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত ট্রাক্টর জব্দ করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। গত বুধবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাকির মুন্সী খুদিয়াডাঙ্গা পয়েন্ট থেকে ৩টি ট্রাক্টর জব্দ করেন। পরে মুচলেকা দিয়ে সেগুলো ছাড়িয়ে নিতে হয়েছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে ক্রেতারা ইজারা পয়েন্টগুলো থেকে বালু ও মাটি কিনতে আসছেন না। এরইমধ্যে ইজারার মেয়াদ শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ইজারা মূল্য তুলতে না পারলে চরমভাবে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বেন। এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু বাক্কার সিদ্দিক বলেন, বালু উত্তোলনে ইজারাদারকে হয়রানী ও বাধা দেওয়ার অভিযোগ সঠিক নয়। নদী তীরবর্তী এলাকার লোকজনের অভিযোগ উঠলে সেক্ষেত্রে তদারকি করা হয়ে থাকে।