খুলনার পাইকগাছায় উদ্দীপনা (এনজিও) মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট দিবা দাস (২৪) সুইসাইড নোট লিখে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় থানা পুলিশ খবর পেয়ে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সে বাগেরহাট জেলার কচুয়ার মশনি গ্রামের কৃষ্ণ দাশ এর কন্যা। উপজেলার বাঁকা বাজারে শাখা ব্যাবস্থাপক মো. জহিরুল ইসলাম জানান, দিবা দাস গত মঙ্গলবার অসুস্থ মায়ের চিকিৎসার জন্য অফিস থেকে মৌখিকভাবে ৩ দিনের ছুটি নেন। কিন্তু তিনি বাড়ি যাননি। বৃহস্পতিবার অফিসিয়াল ভাবে পিকনিক ছিলো। পিকনিকে দিবা দাস এর উপস্থিত থাকার কথা, উপস্থিত না থাকায় এবং তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে পারিনি। দিবার বাসায় খোঁজ নেওয়া হয় সেখান থেকে জানা যায় তিনি বাড়ি যাননি। পরে তার ভাড়া বাসায় খবর নিয়ে দেখা যায় রুমের দরজা ভিতর দিয়ে লাগানো, তিনি অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন। পরে বাড়ি ওয়ালা ও থানা পুলিশকে খবর দিলে থানা পুলিশ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বাসার মালিক শাহেদ আলী মোড়ল বলেন, সে তার পৌরসভার সরল ৪নং ওয়ার্ড বাসায় ভাড়াটিয়া। থানার তদন্ত অফিসার রফিকুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যায় খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন, উদ্দীপনা দুই কর্মকর্তা এবং সার্কেল এসপি স্যারের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে দেখি বেডে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। টেবিলের উপরে একটি নোট লেখা তাতে এমনটাই লেখা ছিল, বাড়ি ওয়ালা চাচা অনেক ভালো, চাচা আমি আপনাকে ঝামেলায় ফেলে দিয়ে গেলাম, আমাকে মাফ করে দিয়েন। আবার এমনটি লেখা ছিল মা আমি কখনো সুখী হবো না, আমাকে ক্ষমা করে দিও, তার ছোট ভাইকে বলছে তুই পড়াশোনা করে মা-বাবাকে দেখিস। তবে তার নোটে লেখা অনুযায়ী তিনি পারিবারিক সমস্যায় ভুগছেন। তার বিয়ে ও ঠিক হয়েছে। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে প্রাথমিক চিকিৎসার দেওয়ার পরে কিছুটা সুস্থ্য হলে তিনি ইশারায় বলেন অনেকগুলো ঘুমের বড়ি খেয়েছি। উন্নত চিকিৎসার জন্য শুক্রবার খুমেক হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।