বরগুনার পাথরঘাটায় র্যাব-৮, সিপিসি-১, এর অভিযানে ১০ কোটি টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ি পাঁচারের মামলায় অভিযুক্ত আন্তর্জাতিক চোরাচালান চক্রের অন্যতম সদস্য মো. রহিম বিশ্বাসকে (৩৬) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি পাথরঘাটা পৌরসভার ৯নং ওয়াডের্র মৃত মনসুর আলী বিশ্বাস এর ছেলে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার পৌরশহরের ৯নং ওয়ার্ডে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করেন র্যাব-৮ (পটুয়াখালী ক্যাম্প)। র্যাবের কোম্পানি অধিনায়ক সহকারী পুলিশ সুপার তুহিন রেজার নেতৃত্বে আসামীর অবস্থানে উপস্থিত হয়। এ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টাকালে চারিদিক ঘেরাও করে মো. রহিম বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর সমুদ্রপথে চোরাচালানের মাধ্যমে কর ও শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বাল্কহেড ভর্তি শাড়ী কাপড় নিয়ে একটি চোরাচালান চক্র নদী পথে উপকূলের দিক দিয়ে বাংলাদেশে আসতে থাকে। এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে কোস্টগার্ড কর্তৃক অভিযানে বাল্কহেডটিকে দেখে থামার জন্য সংকেত দিলে না থেমে বিভিন্ন নদী ঘুরে ভোলা সদর মডেল থানাধীন তুলাতলির মেঘনা নদীর মধ্যে আসে। কোস্টগার্ড আসামীসহ বাল্কহেডটিকে মেঘনা নদীতে গতিরোধ করতে সক্ষম হয়। পরে বাল্কহেডটিকে সার্চ করে কোস্টগার্ড। কেবিন এবং ইঞ্জিনরুমসহ ছোট বড় মিলিয়ে বিপুল পরিমান প্লাস্টিক এবং পাটের বস্তাভর্তি অবৈধ কাপড়ের গাইট পাওয়া যায়। যার বাজারমূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা। সে সময়ে ভোলা জেলার সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। (মামলা নং-৫২, তারিখ ২৪/১১/২০২১)। আটককৃত আসামীদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পলাতক আসামীকে ধরার জন্য র্যাবের দীর্ঘদিন যাবত ছায়া তদন্তের ফলে আজ অভিযুক্ত মো. রহিম বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় র্যাব।
এ বিষয়ে র্যাব-৮ কোম্পানি অধিনায়ক, সহকারী পুলিশ সুপার তুহিন রেজা স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, অভিযানে গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে ভোলা জেলার সদর মডেল থানার (মামলা নং-৫২, তারিখ ২৪/১১/২০২১ইং) মূলে হস্তান্তর করা হবে।