আওয়ামী লীগের দুর্ভেদ্য ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা। এই উপজেলায় যে কোন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেলে তিনি নিশ্চিত জয়লাভ করেন। তাই এখানের উপজেলা, পৌরসভা, অথবা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সংখ্যা সব সময়ই বেশী হয়ে থাকে। এবারের পৌরসভা নির্বাচনেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। আগামী ২০মার্চ কোটালীপাড়া পৌরসভার নির্বাচন। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে ১৬জন দলীয় মনোনয়ন চেয়েছেন। এই ১৬ সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়ন লাভের আশায় এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন। এরা হলেন, বর্তমান পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী কামাল হোসেন শেখ, সাবেক পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়মী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এইচ এম অহিদুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সদস্য ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হোসেন খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান হাজরা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল খালেক হাওলাদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এস এম হুমায়ুন কবির, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন সরদার,উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন খান, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও প্যানেল মেয়র এস এম মিজানুর রহমান মিঠু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হাবিবুর রহমান মুকুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ডা. মোঃ আলীউজ্জামান শেখ, ব্যবসায়ী কমল সেন,জেলা কৃষক লীগের সহ-সভাপতি মোস্তফা কামাল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক প্রয়াত নারায়ন চন্দ্র দামের স্ত্রী উপজেলা পূজা উদয়াপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক লীলা দাম, উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক সাবানা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নার্গিস সুলতানা। এই সম্ভাব্য ১৬ প্রার্থীর অধিকাংশই শুক্রবার আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয় থেকে দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এ সকল প্রার্থীরা আগামী শনি ও রোববার দলীয় মনোনয়নপত্র ধানমন্ডি কার্যালয়ে জমা দিবেন বলে দলীয় সুত্রে জানাগেছে। বর্তমান পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী কামাল হোসেন শেখ বলেন, কোটালীপাড়া পৌরসভা গঠনের পরে আমিই প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলাম। আমার সময়েই এ পৌরসভায় অবকাঠামোগত সকল উন্নয়ন হয়েছে। বিগত ৫বছর আগে আমি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়ে একটি আধুনিক পৌরসভা গঠন করেছি। পৌরসভার সকল নাগরিক সেবা আমি জনগনের দোরগোড়ায় পৌছে দিয়েছি। করোনার কারণে আমি অনেক উন্নয়নমূলক কাজ শেষ করতে পারিনি। আমাকে যদি এবার মনোনয়ন দেওয়া হয় তাহলে নির্বাচিত হয়ে উন্নয়নমূলক অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করবো। সাবেক পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়মী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এইচ এম অহিদুল ইসলাম বলেন, আমি পর পর দুই বার এ পৌরসভায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলাম। এই দুই বারে আমি মসজিদ-মন্দির, রাস্তা-ঘাট, পৌর মার্কেট, পৌর বাসস্ট্যান্ডসহ পৌরসভার ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। আশা করছি আমার কাজের মূল্যায়ণ হিসেবে নেত্রী আমাকে মনোনয়ন দিবেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সদস্য ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হোসেন খান বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী রাজনীতির সাথে যুক্ত থেকে বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করে আসছি। আশা করছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিবেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান হাজরা বলেন, আমি কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় অনেক সেবামূলক কাজ করেছি। আমার বিশ^াস মানবতার জননী শেখ হাসিনা আমার কাজের মূল্যায়ণ করবেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ^াস ও সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ বলেন, কোটালীপাড়া উপজেলা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকা। এখানে আমাদের নেত্রী যাকে মনোনয়ন দিবেন তিনিই নির্বাচিত হবেন। আর যিনি মনোনয়ন পাবেন আমরা সকলে মিলে তার পক্ষে কাজ করবো।