আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের এক বছর বাকি থাকলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর উপজেলায়) আসনে বইছে আগাম ভোটের হাওয়া। নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী এলাকায় বেড়ে গেছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের পদচারণা। তারা নানা কর্মসূচি ও দলীয় কার্যক্রম নিয়ে ভোটার ও নিজ দলের কর্মীদের চাঙ্গা করার চেষ্টা করছেন। প্রতিনিয়ত ছুটছেন বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে। অপর দিকে আগামী দ্বাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মাঝে বিভক্তি স্পষ্ট হয়ে উঠছে, দেখা দিচ্ছে দলীয় কোন্দল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনটি নবীনগর উপজেলার ২১টি ইউনিয়ন ও নবীনগর পৌরসভা নিয়ে গঠিত। ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ পর্যন্ত এই আসনে নারী-পুরুষ মিলে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ২৩ হাজার ৬০৩ জন। পুরুষ ভোটার ২লাখ ১৭ হাজার ৯৩০জন, মহিলা ভোটার ২লাখ ৫হাজার ৬৭১জন, হিজরা ২জন।
জানাযায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫আসনে (নবীনগর নির্বাচনী এলাকা) দ্বাদশ নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী ও মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে বর্তমান সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল,নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি ফয়জুর রহমান বাদল, ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাজী মোর্শেদ হোসেন কামাল, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার জাকির আহম্মেদ, আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রিয় কমিটির সহ-সম্পাদক আলামিনুল হক ও ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম নবী’র নাম শোনা যাচ্ছে।
তৃর্নমূলের নেতা কর্মীরা জানান,সাধারণ মানুষের, দলের ও দলের নেতা কর্মীদের বিপদের সময় যে সকল নেতারা এগিয়ে আসে তাদের মনোনয়ন পাওয়া উচিৎ। কালো টাকার বিনিময়ে অযোগ্য, একনায়কতন্ত্রকারী, দলীয় কোন্দল সৃষ্টিকারী জনবিচ্ছিন্ন’রা দলের মনোনয়ন নিয়ে এলে দ্বাদশ নির্বাচনে তাদের ভড়া ডুবি নিশ্চিত। আমরা চাই জনবান্ধব ও কর্মীবান্ধব নেতা,যাদের কাছে মন খুলে কথা বলা যায়,যাদের মাধ্যমে এলাকার ও জনগনের উন্নয়নমূলক কাজ হবে এবং এলাকায় সর্বমহলে যাদের জনপ্রিয়তা রয়েছে, এমন প্রার্থীদের জনমত জড়িপের ভিত্তিতে দ্বাদশ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হবে এমন প্রত্যাশা তৃর্নমূলের নেতা কর্মীদের।