বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত মন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সিনিয়র যুগ্ন সম্পাদক ড,হাসান মাহমুদ এম পি, বলেছেন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা ও ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য রাজনীতি করে না। আওয়ামী লীগ রাজপথের রাজনৈতিক দল। জনকল্যাণের জন্য রাজনীতি করে। অপরদিকে বিএনপি জামাত জোট দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে জনদূর্ভোগ সৃষ্টি করে। অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে মানুষ হত্যা করে। দলটি নির্বাচন ভয় পায়। সৎ সাহস থাকলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাই করুক। তারা ঘোলা পনিতে মাছ শিকার করতে চায়। আওয়ামী লীগ এই জোটের বিরুদ্ধে পাল্টা কর্মসূচি দেয়নি। শান্তি সমাবেশ করছে। তারা কৌশল করে পিছনে দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়। সেই সুযোগ দেশে নেই। ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতার পট পরিবর্তন হবে। এটাই সাংবিধানিক নিয়ম। তিনি গতকাল শনিবার হাটহাজারীর ফতেপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ফতেপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত শান্তি সমাবেশে এসব কথা বলেন। ২ টা ৪মিনিট থেকে ২ টা ২১ মিনিট পর্যন্ত প্রদত্ত ভাষণে তিনি উপস্থিত নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন ২৯০৮ সালে থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কন্যা বর্তমান সরকারের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত উন্নয়ন কর্মকান্ডের বিষয় সাধারণ মানুষের নিকট তুলে ধরার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন বিএনপি ১০ জানুয়ারি থেকে বেগম জিয়ার নেতৃত্ব সরকার গঠনের যে ঘোষণা দিয়েছেন তা কোন দিন বাস্তবায়ন হবে না। আন্দোলনের জন্য বার বার সময় তারিখ দিয়েছেন কিন্তু কোন কাজ হয়নি। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সংঘটিত ও ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোন ষড়যন্ত্র সফল হবেনা। আগামী নির্বাচনে ও পুনরায় শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও জনকল্যান ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানান তিনি।
ফতেপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্হানীয় ইউ পির সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শামীম এর সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ সালাম। তিনি বলেন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত সরকারের সময় বিগত ১৪ বছরে দেশে যে পরিমান উন্নয়ন হয়েছে তার হিসাব রাত দিন দিয়ে ও শেষ করা যাবে না সরকারের পতন ঘটানোর জন্য বিএনপি জামাত জোট পদযাত্রা ও বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেন। ৩০ ডিসেম্বর পর কি হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন ৩১ডিসেন্বর হবে। এটা সবার জানা। তিনি বিএনপি জামাত জোটের সন্ত্রস নৈরাজ্য প্রতিরোধ করতে উপজেলা আওতাধীন ১শ ৩৫ ওয়ার্ডে ১শ জন করে ব্রিগেট গঠন করা হবে বলে উল্লেখ করেন। তিনি ওয়ান ইলেভেনের পর এই উপজেলায় এক নেতার নাম উল্লেখ না করে তার কাছে পুটপাঠের যে পরিমান সম্পদ উদ্ধার করা হয়েছে তার লজ্জা থাকা উচিত বলে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান।
উপজেলা ছাত্রলীগের সবেক সাধারণ সম্পাদক সাঈদুল হক সুমনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন ও গীতা থেকে পাঠ করেন যথাক্রমে ইকবাল হোসেন ও জগদীশ চন্দ্র রুদ্র। সভায় উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যথাক্রমে ইউনূস গনি চৌধুরী, জসিম উদ্দিন শাহ, মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী, জাফর আহম্মদ, দিদারুল আলম বাবুল, শওকত আলম শওকত, সেলিম উদ্দিন, মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বাসন্তী প্রভা পালিত, কেন্দ্রীয় আওয়ামী উপ কমিটির সদস্য রাশেদুল ইসলাম রাসেল, শাহনেওয়াজ হোসেন চৌধুরী, উত্তর জেলা যুবলীগের নব গঠিত কমিটির সভাপতি ও হাটহাজারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম রাশেদুল আলম। উপজেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নূরুল আলম বাশেক, উত্তরজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানবিব হোসেন চৌধুরী তপু, রেজাউল করিম, শ্রমিক নেতা আবুল লাইস। সভায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী। উপজেলা চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি সরোয়ার মোরশেদ তালুকদার, ১১ নং ফতেপুর ইউ পি চেয়ারম্যান জায়নুল আবেদিন গোলাম মোস্তফা প্রমূখ। সভায় বিভিন্ন ইউ পি চেয়ারম্যানগন, উপজেলার আওতাধীন ইউনিয়ন ও পৌরসভা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবুন্দ।