আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বলেছেন, আমরা চাই প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার শান্তি মিছিল, আন্দোলন, সংগ্রাম করুক। কিন্তু আন্দোলনের নামে যদি কেউ ২০১৩ সালের মত যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার নামে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা,নৈরাজ্যে সৃষ্টি করলে বিএনপিকে রাস্তায় নামতে দেব না। যারা নির্বাচন প্রতিরোধের নামে ১৩১ জন লোককে হত্যা করেছিল ২০১৪ সালে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যদেরকে হত্যা করেছিল। তারা যদি এবার এই স্বপ্ন দেখে, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে না।
শনিবার বিকেলে খুলনার ডুমুরিয়ায় আওয়ামী লীগ আয়োজিত 'সম্প্রতি সমাবেশে' প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা মনে করি এই দেশ মুক্তিযোদ্ধাদের দেশ। এই দেশ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। সেই দেশে সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে, এই সুযোগ দেওয়া হবে না। এই কারণে আমাদের কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করার জন্য আমরা রাস্তায় প্রতিনিয়ত গ্রামপর্যায়ে মিটিং-মিছিল, সমাবেশ করছি। তবে কাউকে বাধা দেওয়ার জন্য না। যদি কেউ আন্দোলনের নামে কারও গায়ে হাত দেয়, ওই হাতটা ওই এলাকার জনগণের ভেঙে দেবে। বিএনপি জানে জনগনের ভোটে তারা ক্ষমতায় যাবে না। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করলে বাঁধা হবে না। বিএনপি চাচ্ছে রক্ত। তাদের কর্মীদের সেইভাবে উত্তেজিত করছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগনের আস্তা অর্জনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে চাই। মিথ্যা কথার ফুলঝুড়ি দিয়ে নয়। শেখ হাসিনার কাছে বাংলাদেশের মানুষ নিরাপদ৷
ডুমুরিয়া সদর ইউনিয়ন আ'লীগের সহসভাপতি মোশাররফ হোসেন জোয়াদ্দার কচি'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা আ'লীগের সভাপতি নারায়ন চন্দ্র চন্দ এমপি।বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আ'লীগের সদস্য আজগর বিশ্বাস তারা, উপজেলা আ'লীগ নেতা এম,এম সুলতান আহম্মেদ,গাজী তৌহিদুজ্জামান,মোল্যা সোহেল রানা, আছফর হোসেন জোয়ারদার,এস,এম জাহাঙ্গীর আলম,শীলা রানী মন্ডল,শেখ ইকবল হোসেন,মাসুদ রানা নান্টু,চেয়ারম্যান সুরন্জিত বৈদ্যে,রবিউল ইসলাম আন্টু,শেখ আসাদুজ্জামান প্রমূখ।