একটি কিডনি বিকল হয়ে পড়েছে ময়নুল হোসেনের। চিকিৎসক পরামর্শ দিয়েছেন,তার নষ্ট কিডনিটা অপসারণ করা জরুরী। তার জন্য দরকার অর্ধ লক্ষাধিক টাকা। কিন্তু সে অর্থ যোগান দেওয়ার সামর্থ্যও নেই তার।বর্তমানে তার শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলে গেছে।শরীরে বেশ ক্লান্তি অনুভব করেন।মাঝে মধ্যে অসহনীয় ব্যাথায় কাতর হয়ে পড়েন তিনি।এঅবস্থায় গত এক মাস হলো তিনি কাজে যেতে পারেন না।তাই আয়-রোজগার না থাকায় সংসারেও জেঁকে বসেছে দারুণ অভাব।
ময়নুল হোসেন পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার ভবানীপুর ভাটোপাড়া গ্রামের মৃত ওমর আলী প্রামানিকের ছেলে। তার বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর।পেশায় সে একজন চা বিক্রেতা।বসতভিটে ছাড়া তার নেই কোন জমাজমি।স্ত্রী ও এক সন্তান নিয়ে চা বিক্রি করেই মোটামুটি চলে যাচ্ছিল তাদের সংসার।হঠাৎ তার বাম পাশের কিডনিটা বিকল হয়ে পড়ায় এখন দু'চোখে অন্ধকার দেখছেন তিনি।একদিকে নিজের চিকিৎসা খরচ,অন্যদিকে সংসার চালাতে এখন দিশেহারা তিনি।
ময়নুল হোসেন বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা: মোহা: সিদ্দিকুর রহমান সোহেলের তত্ত্বাবধানে নিজ বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তার স্ত্রী নাজমা খাতুন জানান,'তার স্বামীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সেখানকার ডাক্তার বলেছেন তার স্বামীর বাম পাশের কিডনিটা নষ্ট হয়ে গেছে।তার অপারেশনের জন্য দরকার অর্ধ লক্ষাধিক টাকা।কিন্তু এতো টাকা যোগান দেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব না।'
অসুস্থ ময়নুল হোসেন জানান, কিডনিটা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আজ এক মাস যাবৎ কাজে যেতে পারছিনা। ধার-দেনা করে রাজশাহী গিয়ে ডাক্তার দেখিয়েছি। ডাক্তার বলেছেন, নষ্ট কিডনিটা তাড়াতাড়ি অপসারণ করতে।এ জন্য অর্ধ লক্ষাধিক টাকার প্রয়োজন।কিন্তু টাকার যোগান দিতে পারছি না।'
সহায় সম্বলহীন ময়নুল হোসেনের আকুতি,একটি কিডনি নিয়ে হলেও এ পৃথিবীতে বেঁচে থাকার।তাই নিজের চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তশালী মানুষের কাছে তিনি সাহায্য কামনা করেছেন।