বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১১ ফেব্রুয়ারি সারা দেশের ন্যায় বগুড়া শেরপুরের খানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজনে ছাতিয়ানী উচ্চ বিদ্যালয়ে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেই সমাবেশে বিশাল একটি শোভাযাত্রা নিয়ে উপস্থিত হন সদ্য ক্ষমাপ্রাপ্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব আম্বিয়া। এ সময় সমাবেশস্থল কানায় কানায় পূর্ন হয়। অথচ সেই নেতাকে মঞ্চে না ডাকায় তৃনমুল নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, আহসান হাবিব আম্বিয়া অসুস্থতা জনিত কারণে বিগত ২০২১ সালে ডিসেম্বর মাসের ২৮ তারিখে শেরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেক স্ব-ইচ্ছায় পদত্যাগ করেন। পরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বার্থ, আদর্শ, শৃঙ্খলা তথা গঠনতন্ত্র ও ঘোষনাপত্র পরিপন্থী কর্মকা-ে সম্পৃক্ততার দায়ে তাকে উপজেলা কমিটি বহিস্কার করেন। দীর্ঘদিন রাজনীতির বাহিরে থাকার পর গত ২০ জানুয়ারি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি বরাবর ক্ষামা চেয়ে একটি লিখি আবেদন দেন আহসান হাবিব আম্বিয়া। আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১৭ ডিসেম্বর গনভবনে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত মোতাবেক আহসান হাবিব আম্বিয়াকে ক্ষমা করা হয় এবং ২৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগ ও উপজেলা আওয়ামীলীগকে চিঠি দেয়া হয়। সেইসূত্রে ১১ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিশাল একটি শোভাযাত্রা নিয়ে শান্তি সমাবেশে আসেন তিনি। সেই সমাবেশে তাকে মঞ্চে না ডাকায় তৃনমূল নেতাকর্মূদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। পরে আহসান হাবিব আম্বিয়া নেতাকর্মীদের শান্ত করে সমাবেশস্থলে বসান। এ ব্যাপারে খানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বেশ কিছু নেতা বলেন, শেরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগরে সাবেক সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তাকে মঞ্চে ডাকা যেতেই পারতো। কিন্তু কেন তা করা হয়নি তা আমাদের বোধগম্য নয়। এভাবে চলতে থাকলে তৃনমূল পর্যায়ে আওয়ামীলীগকে সুসংগঠিত করা সম্ভব হবেনা।
এ ব্যাপারে সদ্য ক্ষমাপ্রাপ্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব আম্বিয়া বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন আমি এতেই খুশি। আমাকে মঞ্চে ডাকলো কি ডাকলোনা এ নিয়ে আমার মাথা ব্যাথা নেই। আমার অবস্থান থেকে আওয়ামী লীগের সকল কর্মসূচি বাস্তবায়ণ করার চেষ্টা করবো। আমি সকল নেতাকর্মীদের দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের কমান্ড মেনে চলার আহবান জানাচ্ছি।