কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলে এস এস সি ২০০৭ ও এইচ এস সি ২০০৯ ব্যাচের বীচ কার্নিভাল-২৩। কক্সবাজার ০৭/০৯ ব্যাচের আয়োজনে এই বন্ধু সম্মেলনে প্রায় এক হাজার অংশগ্রহণকারী আসে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে। গত শুক্রবার ১০ ফেব্রুয়ারি সকালে সুগন্ধা পয়েন্টের সাগর কিনারায় অবস্থিত প্যাসিফিক বীচ লাউঞ্জে এই বীচ কার্নিভালটি অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজনের শুরুতেই ছিলো বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা বন্ধুদের নিয়ে সমুদ্র সৈকত পরিচ্ছন্ন কর্মসূচি। বেলুন উড়িয়ে বন্ধু সম্মেলনের সূচনা করে বীচ ক্লিন আপে অংশ নেন কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার জিললুর রহমান। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত খেলাধুলা, ছবি তোলা, আড্ডা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ডিজেসহ বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নিয়ে নেচে গেয়ে সারা দিন পার করেন অংশগ্রহনকারীরা।
চট্টগ্রাম থেকে আসা বাপ্পা মলিস্নক বলেন, আজ সারাদিন অনেক বেশি ভালো কাটছে, একসঙ্গে এতোগুলা বন্ধু পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে গেছি। দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে, তাছাড়া সৈকত বেষ্টিত পরিবেশ আয়োজনের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ। কক্সবাজারের বাইরে থেকে আসা আরো একজন আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এমন আয়োজন করা সত্যিই অনেক চ্যালেঞ্জিং, কক্সবাজারের বন্ধুরা সাহসীকতার পরিচয় দিয়েছে। আমি এর আগেও ০৭/০৯ ব্যাচের বিভিন্ন জি২জি তে অংশ নিয়েছি তবে কক্সবাজারের আয়োজন টা আমার কাছে অন্যতম মনে হয়েছে। আমি আশা করবো কক্সের বন্ধুরা এই আয়োজন প্রতিবছর আয়োজন করবে এবং এর মাধ্যমে বন্ধুদের বন্ধন অটুট রাখবে।
আয়োজনের মধ্যে অন্যতম ছিলো, গরু/ছাগলের মেজবানি, মহেশখালীর মিষ্টি পান, কালো বিন্নির ভাপা পিঠা, পপকর্ন, গুড়ের জিলাপি। আয়োজকের পক্ষ থেকে রাশেদুল ইসলাম বলেন, সারা দেশের বন্ধুদের একত্রিত করতে বহু কাটখড় পোড়াতে হয়েছে আমাদের। অনেক আগে থেকে চেষ্টা করছিলাম আয়োজন টা করার জন্য কিন্তু বিভিন্ন বাধার সম্মুখে পড়ে বার বার পিছিয়ে যাচ্ছিলাম। তবে সারা দেশের বন্ধুদের একত্রিত করতে পেরে এখন মনে হচ্ছে আমরা সার্থক। সাইফ উদ্দিন বলেন, আয়োজন যেহেতু অনেক বড় সেহেতু আমাদের অনেক বাধার সম্মুখে হতে হয়েছে, রেজিষ্ট্রেশন, ভ্যনু নির্ধারন, খাওয়ার আয়োজন সহ বিভিন্ন বিষয় সুন্দর করে সম্পন্ন করাটা বেশ কষ্টসাধ্য ছিলো। তবে এটি সম্ভব হয়েছে আয়োজক কমিটির প্রতিটি সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও আন্তরিকতার কারনে। প্রতিবছর এই মিলনমেলার যেনো আয়োজন করা হয় এমনই অনুরোধ অংশগ্রহনকারীদের।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে ছিলো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যেখানে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ০৭/০৯ ব্যাচের সংগীত শিল্পীদের নিয়ে গান, নাচ ও মঞ্চ নাটক প্রদর্শনী হয়।