কোন রাজসিক বিয়ে নয়,তবুও দুলাভাই ও বোনের ইচ্ছে পূরণ করতে গিয়ে হেলিকপ্টার ও ঘোড়ার গাড়ি চড়ে বিয়ে করলেন নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ রাফিউদ্দিন আহম্মদের ছেলে শেখ জহির উদ্দিন তুন্নান। সোমবার দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে নাসিরপুর সৈয়দ লুৎফর নগর থেকে বরযাত্রী নিয়ে ১ টা ৫৫ মিনিটে কনের বাড়ির অদূরে নাসিরনগর আশুতোষ পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে নামে। হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ের খবরে শত শত মানুষ ভিড় জমান দেখতে। উৎসুক জনতার ভিড় সামলাতে পুলিশ ও আনসার মোতায়েন করা হয়। আর এই ভিড় সামলাতে নাসিরনগর থানা পুলিশকে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। সেখান থেকে ডালিং পয়েন্টের ঘোড়ার গাড়িতে করে কনের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে বিকাল ৪ টা ২০ মিনিটের দিকে নববধূ লিসাকে হেলিকপ্টারেই নাসিরনগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের পার্শ্ববর্তী মাঠে অবতরণ করে নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন। বিদায় বেলায় কান্নার রোল না থাকলেও মোবাইল ফোনে ছবি ভিডিও ও সেলফি তোলার প্রতিযোগিতা চলে। বর ও কনের বাড়ি উপজেলা সদরে পাশাপাশি মহল্লায়। বরের টিএন্ডটি অফিস সংলগ্ন ও কনের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন। তবে হেলিকপ্টারে ও ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে বিয়ের ঘটনায় এলাকায় বেশ কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়,বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার(ইলেকট্রিক্যাল এ- ইলেকট্রনিক) শেখ জহির উদ্দিন তুন্নান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ রাফিউদ্দিন আহম্মদের কণিষ্ঠ ছেলে। আর কনে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার(কম্পিউটার সায়েন্স) নিগার সুলতানা লিসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাবেক পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মরহুম হাবিবুর রহমানের একমাত্র মেয়ে। বর শেখ জহির উদ্দিন তুন্নানের দুলাভাই সৈয়দ লুৎফর হায়দার জানান,বরের একমাত্র বোন রায়হানা আক্তার মুন্নীর শখ পূরণ করতে গিয়ে শ্যালককে হেলিকপ্টার ও ঘোড়ার গাড়িতে বিয়ে দেয়ার ইচ্ছে থেকেই এ আয়োজন করেছেন। বর শেখ জহির উদ্দিন তুন্নান জানান,দুলাভাই ও বোনের ইচ্ছাকে সম্মান জানিয়েই তিনি হেলিকপ্টার ও ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে বিয়ে করছেন। তবে বিষয়টি তার কাছে বেশ রোমাঞ্চকর বলে তিনি মন্তব্য করেন। উল্লেখ্য,উপজেলা চেয়ারম্যানের একমাত্র মেয়ে রায়হানা আক্তার মুন্নীর বিয়েতে বর নাসিরপুর গ্রামের নিবাসী ও নাসিরনগর সরকারি ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক সৈয়দ লুৎফুর হায়দার ছোটবেলার স্বপ্ন পূরণ করতে নাসিরপুর থেকে হেলিকপ্টার গিয়ে বিয়ে করে এলাকায় আলোচিত হন।