সমৃদ্ধির পথে দ্রুত এগিয়ে চলা একটি দেশের নাম বাংলাদেশ। আমাদের দেশকে আরও সমৃদ্ধ-শীল হিসেবে গড়ে তোলার জন্য শিক্ষার পাশাপাশি নতুন প্রজন্মকে খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চা বাড়াতে হবে। আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ কর্ণধার। সুনাগরিক হয়ে তারাই একদিন উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলবে ও আগামীতে বিশ্ব আসরে তাদের নিজস্ব আসন করে নিতে পারবে, তাই শিশুদের খেলাধুলার ওপর গুরুত্বরোপ করতে হবে। মহত্ত্বের বীজ শিশু বয়স থেকেই বপন করতে হবে, যা কেবল লেখাপড়া শিখেই অর্জন করা যায় না। ছোট থেকেই যারা খেলবে তারা আরও সুযোগ লাভ করবে। খেলাধুলার মধ্যদিয়েই চরিত্র গঠন, সুস্বাস্থ্যের অধিকারী, মেধা বিকাশের সুযোগ ঘটবে। তাই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে উপযুক্ত সংস্কৃতি ও খেলাধুলার ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং সকলের জন্য বাধ্যতামূলক করা আবশ্যক। কারণ তরুণ সমাজ নিয়ে দুশ্চিন্তা কেবলই বাড়ছে। আমাদের জীবন দিন দিন প্রকৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, গ্রামীণ জীবনে প্রাকৃতিক দাক্ষিণ্য থাকলেও উপভোগ করার মতো মন তৈরি হচ্ছে না। বরং মানুষ অন্দরের প্রাণিত পরিণত হচ্ছে। ঢাকা শহরে খেলাধুলার যায়গা নেই বললেই চলে। ফলে শহরের শিশুরা সংস্কৃতি, খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হয়ে ফ্ল্যাটে বন্ধীতে আবদ্ধ হয়ে পড়ছে। তাই তাদের বাবা মার উচিত সংস্কৃতি ও খেলাধুলার প্রতি উৎসাহিত করা। শিক্ষার আঁধার হলো সংস্কৃতি। একজন শিক্ষার্থীর জীবনবোধ যদি সংস্কৃতিচেতনায় ঋদ্ধ না হয়, চর্চিত বিদ্যা জীবনকে সুন্দরভাবে যাপন সহায়ক হয় না। যেখানে বিশ্বের বড় বড় শিক্ষা-দার্শনিকরা শিশুর বিকাশে সংস্কৃতি ও খেলাধুলার বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন। খেলাধুলা জাঁতি গঠনে অবদান রাখে। তাই শহরের পাশাপাশি গ্রামীণ খেলাধুলা ও সংস্কৃতির ব্যবস্থা করতে হবে। আমাদের দেশীয় খেলা ও সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে আন্তঃকুল প্রতিযোগিতায় আনতে হবে। সংস্কৃতি, খেলাধুলা ও শিক্ষার ক্ষেত্রে বরাদ্ধ যথেষ্ট বৃদ্ধি না পেলে উন্নয়নের ধারা ধরে রাখা দুরূহ হবে। দেশের প্রত্যেক জেলায় সরকারি অর্থায়নে সব উপজেলাগুলোয় খেলার মাঠ নির্মাণে সরকারের উদ্যোগ নিতে হবে। যদিও আমাদের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জানান, খেলার-মাঠ নির্মাণকার্য চলছে, নির্মাণ কাজে সময়ক্ষেপণ হচ্ছে বলে সর্তক করেন তিনি। দেশের ১৮৬ টি জেলায় মিনি স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে, আরও ১৭১ টি জেলায় নির্মাণের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। শুধু ক্রিকেট নয়, সব খেলার জন্য উন্মুক্ত করে দিতে মন্ত্রণালয়কে নিদেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের উন্নয়নে পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরও সমান অংশীদারিত্বের সুযোগ করে দিতে হবে। সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনে এবং আধুনিকায়নে সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাতে হবে। শিশুদের খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চায় জড়িত রাখার মাধ্যমে তাদের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক ও দুনীতি থেকে দূরে রেখে উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। সংস্কৃতি ও খেলাধুলা চর্চা জাতির জন্য অপরিহার্য।