পহেলা ফাল্গুন বসন্ত বরণ ও ভালোবাসা দিবসকে ঘিরে উৎসব মূখর ছিল রংপুর। তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সের মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। ভালোবাসা দিবস ও বসন্ত উৎসবের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ছিল নানা আয়োজন। দিনটিকে ঘিরে সবাই মেতে ছিলেন আনন্দে।
মঙ্গলবার সরেজমিনে নগরীর বিনোদন উদ্যান চিড়িয়াখানা, তাজহাট জমিদার বাড়ি ও জাদুঘর, চিকলিপার্ক, কালেক্টরেট সুরভি উদ্যান, টাউন হল চত্বরসহ বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে মানুষের উপচেপড়া ভিড়। তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সের মানুষের সরব উপস্থিতি। কেউ এসেছেন স্ত্রীকে নিয়ে, কেউবা গালফেন্ড আবার অনেকেই এসেছেন পরিবার নিয়ে। তবে তরুণ-তরুণীদের সংখ্যাই বেশি লক্ষ করা গেছে।
একই চিত্র দেখা গেছে, নগরীর বাহিরে ভিন্নজগত, আনন্দনগর, মহিপুরঘাট, কাউনিয়া তিস্তাসড়ক সেতু পয়েন্টেও। এছাড়াও বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান সমুহ ও হোটেল-কপি হাউজগুলোতে তরুণ-তরুণীরা ভিড় করেছেন।
তবে রংপুর চিড়িয়াখানা, ভিন্নজগত ও চিকলীপার্কে ভিড় ছিল দেখার মতো। এছাড়াও নগরীতে অবস্থিত তাজহাট রাজবাড়ি ও জাদুঘর সব ধরণের মানুষের পদচারণায় মুখর ছিল। ঐতিহ্যবাহী এই বাড়িটি রংপুরের বিনোদন প্রেমীদের মধ্যে সব চেয়ে আর্কষণীয় স্থান বলেও জানা গেছে।
চিড়িয়াখানায় কথা হয় রোশনা আক্তার রোজ নামের এক শিক্ষার্থীরা সাথে। তিনি জানান, বাঙ্গালির চিরন্তন ঐতিহ্য বসন্ত বরণের সাথে ভালোবাসা দিবস অন্য রকম আনন্দ এনে দিয়েছে। অনেকে গোলাপ, গাদা রজনি গন্ধা ফুলসহ বিভিন্ন ফুল দিয়ে আপনজনকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। তার মতোই একই কথা বলেছেন, হাদিউজ্জামান ী ও জাহিদ হাসান নামের দুই তরুণ।
নগরীর মুলাটোল এলাকার রিজু ইসলাম ও বাহার কাছনা এলাকার মাহমুদুল ইসলাম বলেছেন, বসন্ত বরণ ও ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে রংপুর ছিল উৎসব মূখর। এদিনকে ঘিরে সব বয়সী মানুষের মাঝে আনন্দ ছিল। অনেকেই আনন্দ-উচ্ছ্বাস ভাগাভাগি করেছেন। আমাদেরও ভালো কেটেছে দিনটি। বিভিন্ন স্থান ঘুরেছি। বেড়িয়েছি।
এদিকে নগরীসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন বসন্ত বরণ ও ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠান করেছে।