রাজশাহীর বাঘায় পঞ্চম শ্রেণির শিশু শিক্ষার্থী শাহাদত হোসেনকে মারপিটে আহত করা করা হয়েছে। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর পিতা শাহিন আলম বাদি হয়ে বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুরে জোতনসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
তবে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার সকাল ১০টার দিকে উভয়ের মধ্যে উত্তেজনা ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে জয়নাল হোসেন আহত হয়েছে। তাকে উপজেলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, জোতনসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও জোতনসী গ্রামের জয়নাল হোসেনের মেয়ে খাদিজা খাতুনের সাথে আহত সাহাতদ হোসেনের ছোট ভাই মোহাব্বত হোসেন প্রথম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। তাদের ক্লাসে বসা নিয়ে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার বিষয়টি খাদিজা খাতুনের পিতা জানতে পেরে মোহাব্বতকে মারার জন্য বিদ্যালয়ে যায়। সে সময় মোহাব্বতকে না পেয়ে তার বড় ভাই শাহাদত হোসেনকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে। এতে শাহাদত হোসেন আহত হয়েছে। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
শাহাদত হোসেন উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের দেবত্তর বিনোদপুর গ্রামের শাহিন আলমের ছেলে ও জোতনসি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে জোতনসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকতার বানু বেলী বলেন, প্রথময়ার্ধের ক্লাস শেষে টিফিনের বিরতি চলছিল। এ সময়ে কিছু বুঝে উঠার আগে জয়নাল স্কুলে এসে পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে মারধর শুরু করে। এগিয়ে গিয়ে তাকে রক্ষা করে পরিবারকে খবর দেয়া হয়। তারা এসে নিয়ে যায়। পরে তাকে পরিবারের পক্ষে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। তবে বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে শিক্ষা অফিসার ও ইউএনও স্যারকে অবগত করা হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মীর মো. মামুনুর রহমান বলেন, উভয়কে ডেকে বিষয়টি সমাধানের জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সমাধান না হলে ওই অভিভাবকের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাঘা থানার ডিউটি অফিসার এস.আই প্রজ্ঞাময় বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি তদন্ত চলছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আখতার বলেন, ঘটনাটি অবগত রয়েছি। ঘটনার সত্যতার প্রমাণ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।