ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী খুলনার ডুমুরিয়ার বরুনা বাজার বণিক সমিতির নির্বাচন আগামী ৪ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে নিয়ম নীতি না মেনে স্বেচ্ছাচারি মূলক ভাবে ভোটার তালিকায় নুতন সদস্য অন্তর্ভূক্তি, সদস্য পদ বাতিল সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তবে নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার বলছেন লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বৃহৎ এ বণিক সমিতির নেই কোন গঠনতন্ত্র ফলে নীতি নির্ধারকদের খেয়াল খুশি মত পরিচালিত হচ্ছে এ নির্বাচন। এতে প্রতিহিংসার শিকার হয়ে অনেকেই ভোটার তালিকা থেকে ঝরে পড়েছে এমন অভিযোগ করে কথা বলেন বাজারের প্রবীন ব্যবসায়ী বীরমুক্তিযোদ্ধা এম,এ লতিফ। তিনি অত্যন্ত ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বরুনা বাজার একটি ঐতিহ্যবাহী বাজার। বর্তমানে ১৬৫ জনের ব্যবসায়ীর সমন্বয়ে বাজারটি পরিচালিত হয়ে আসছে। ২০১৭ সালে প্রথমে বাজারের ব্যবসায়ীরা বনিক সমিতি গঠন করে বাজার পরিচালনার উদ্যোগ নেয়। কিন্তু সমিতির কতিপয় সদস্যের অনিময় ও স্বেচ্ছাচারিতায় সমিতির কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।বাজার বনিক সমিতির সাবেক কতিপয় নেতৃবৃন্দ সমিতির কোন গঠনতন্ত্র বা বিধি বিধান প্রণয়ন না করে তাদের মনগড়া ভাবে নতুন কমিটি গঠনের লক্ষ্যে স্হানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এম,জহুরুল হক এর সাথে যোগসাজসে সমিতির নতুন সদস্য অন্তর্ভূক্তিসহ নির্বাচনের তফসীল ঘোষণা করিয়েছেন।
এতে ইউপি চেয়ারম্যান বিএম জহুরুল হক নিজে ওই বণিক সমিতির কোন সদস্য না থাকা/হওয়ার পরও ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে নির্বাচন পরিচালনার সাথে যুক্ত হয়ে খেয়াল খুশি মত নিজের একক স্বাক্ষরিত একটি ভোটার তালিকা প্রণয়নসহ নির্বাচন পরিচালনা করছেন।
তিনি আরও বলেন, বাজারের একজন ব্যবসায়ী হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আমার বিগত ২০২১-২২ অর্থ বছরে ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু থাকার পরও আমাকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।আমার ট্রেড লাইসেন্স নবায়নের জন্য বার বার ইউনিয়ন পরিষদে ধর্ণা দিলেও চেয়ারম্যান তার ব্যক্তিগত আক্রোশের কারণে আমার ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করেনি'। বিষয়টি সত্য এমনটি দাবি করে বাজার কমিটির সাবেক সভাপতি মাহাবুর রহমান গাজী, দেলোয়ার হোসেন, জাকির গাজী সহ অনেক ব্যবসায়ী বলেন, গঠনতন্ত্র ও নিয়মনীতির বালাই না থাকলেও খেয়াল খুশি মত চেয়ারম্যান এটি পরিচালনা করে আসছেন। এ নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা হয় চেয়ারম্যান বিএম জহুরুল হক'র। ভোটার তালিকায় এম,এ লতিফ কে অন্তর্ভূক্ত না করা এবং ট্রেড লাইসেন্স না দেওয়ার কারণ কি ? এমন প্রশ্নের উত্তর তিনি কৌশলে প্রসঙ্গ এড়িয়ে বলেন,বাজারে তো কাউকে ব্যবসা বাণিজ্য করতে বাঁধা দেয়া হচ্ছে না।
বনিক সমিতির নির্বাচন পরিচালনার দায়ীত্ব পালনকারি রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা সরদার জাহিদুর রহমান বলেন, এটি একটি মনগড়া সমিতি বলে মনে হচ্ছে। যেখানে গঠনতন্ত্র ও নিয়মনীতির বালাই নেই বলে শুনেছি, তবে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।