পিত্রালয়ে বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার হন এক গৃহবধূ(৪৫) থানায় মামলা না নেওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করেণ ঐ ধর্ষিতা। থানায় মামলা রুজুর প্রায় পৌনে দুই মাস হলেও আসামি গ্রেপ্তারে গড়িমসি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্গাপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক(এসআই) শুভাশিস গাঙ্গুলীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ব্যক্তি দুর্গাপুর পৌর সদরের এমকেসিএম মোড়স্থ ঋষিপট্টির চুনু মিয়ার ছেলে মানিক মিয়া(৪৭)। মামলাটি তুলে নিতে ভুক্তভোগীর ছোট ভাই মামলার সাক্ষী ফরহাদ মৃধা ও আলমগীর মৃধাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ এমনকি প্রাণনাশের হুমকী দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত ২৯অক্টোবর উপজেলার পৌর সদরের চকলেঙ্গুরা গ্রামের মৃত ওয়াহাব মৃধার বাড়িতে বেড়াতে আসেন ভুক্তভোগী। পিত্রালয়ে প্রায় সময়ই বেড়াতে আসার সুবাধে কু-নজর পড়ে ঐ নারীর প্রতি এরই রেসধরে পূর্ব থেকেই ওঁৎ পেতে থাকা অবস্থায় ঘটনার দিন রাতে বাতরুম থেকে বের হওয়ার সময় মুখে গামছা পেঁছিয়ে প্রাণনাশের হুমকী দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে মানিক মিয়া। পরদিন থানায় মামলা নেয়নি পুলিশ। ঘটনার ৬দিন পরে আদালতে মামলা রুজু করা হয়। আদালতের নির্দেশে দুর্গাপুর থানার ওসি গত ২৫ ডিসেম্বর মামলাটি রেকর্ড করেণ। দুর্গাপুর থানার মামলা নং-১৭। মামলা রুজুর পৌনে দুইমাস পেরিয়ে গেলেও প্রকাশ্যে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মামলার বিবাদী মানিক মিয়া। কিন্তু কী কারণে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাঁকে গ্রেপ্তার করছে না এ বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগীরা আতঙ্কে রয়েছেন বলে জানান।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শুভাশিষ গাঙ্গুলি জানান,এখনো মেডিকেল রিপোর্টটি হাতে আসেনি। মামলাটির তদন্ত চলমান রয়েছে। আসামি ধরতে গড়িমড়ির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বেশ কয়েক বার গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়েছি।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মোহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম বলেন,জমি সংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। তবে ধর্ষণ মামলাটি একটি রহস্যজনক মামলা মনে হচ্ছে। তবে আমি একজন সিনিয়র অফিসার দিয়ে পুণরায় মামলাটি তদন্ত করাবো। অপরাধী হলে অবশ্যই এ বিষয়ে আসামীকে গ্রেপ্তার করা হবে।