যশোরের অভয়নগর উপজেলার পায়রা ইউনিয়নের বিএডিসি’র সেচপ্রকল্পের পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে গয়ার মাঠ ও মহিষকুড় বিল প্রকল্পের সাবেক কোষাধ্যক্ষ আছর আলী মোল্যার বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর প্রকল্পের বর্তমান কমিটিসহ দুইশত কৃষক স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, উপজেলার পায়রা ইউনিয়নের গয়ার মাঠ ও মহিষকুড় বিলে বিএডিসি’র একটি সেচপ্রকল্প রয়েছে। প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১৫০ একর জমিতে ধান চাষ করা হয়। প্রকল্পের সাবেক কমিটির কোষাধ্যক্ষ বারান্দি গ্রামের মৃত আঃ জব্বার মোল্যার ছেলে আছর আলী মোল্যা নিজের ইচ্ছে মত ভুয়া বিল-ভাউচার প্রস্তুত, নিজের জমিতে সেচবোরিং স্থাপন, মটর মেরামতের নামে এক লাখ ৩৫ হাজার ৭শ’ টাকার ভুয়া বিল-ভাইচার, মটর মেরামতের বাতিল ৪৫ কেজি তামার তার এবং কৃষকের জমাকৃত টাকা হিসাব রেজিস্টারে না উঠিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। প্রকল্পের নতুন কমিটি সকল হিসাব চাইলে অধ্যবধি তিনি তা দেননি। বরং তিনি নিজ বাড়ির পাশে পানি নিষ্কাশনের একটি ড্রেন বন্ধ করে দেন। ফলে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হয়ে কৃষকের ফসলি জমি তলিয়ে যেতে শুরু করেছে।
এ অবস্থায় সেচপ্রকল্পের সাবেক কোষাধ্যক্ষ আছর আলী মোল্যার বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি করা হয়েছে। এ ছাড়া পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ও কৃষকের জমাকৃত অর্জিত টাকা ফিরে পাওয়া এবং প্রকল্পের বকেয়া বিদ্যুৎবিল পরিশোধে সুব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছে অভিযোগকারীরা।
এ ব্যাপারে সাবেক কোষাধ্যক্ষ আছর আলী মোল্যা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে মুঠোফোনে বলেন, নতুন কমিটি আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। ষড়যন্ত্রকারীদের সঙ্গে আমার পরিবারের অনেকে জড়িত রয়েছে। অভিযোগ মিথ্যা ও আনোয়াট। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দীন জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।