চাঁদপুরে সচেতনতার অভাবেই এক শ্রেণীর মৌসুমি জেলে ও আড়তদারদের হাতে নির্বিচারে নিধন হচ্ছে নদ নদীর বাইল্লার পোনাসহ সহ বিভিন্ন প্রজাতির রেণুপোনা। যা পরবর্তীতে ভ্রাম্যমাণভাবে হাট-বাজার ও ভ্যানে করে স্বল্পমূল্যে দেদরছে বিক্রি করা হচ্ছে।শহরের পালবাজার ব্রিজ চত্বর, কুমিল্লা রোড, বিপুনীবাগ, নতুনবাজার, ওয়ারলেস বাজার, বাবুরহাটসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে প্রকাশ্যে হকারী করে এসব বাইল্লার পোনা বিক্রি হতে দেখা যায়। যার বেশিরভাগ বাইল্লার পোনাই এক থেকে দেড় ইঞ্চি বা তার চেয়েও ছোট।
প্রতিবছরই শীত আসলেই চাঁদপুর মেঘনা নদীর হরিসভা, বহরিয়া,দোকানঘরসহ বিভিন্ন জায়গায় নদীর পাড়ের মৎস্য আড়তগুলোতে ভোর বেলায় এবং সন্ধ্যার দিকে বাইল্লা ও চিংড়ি মাছের পোনা বিক্রির পাইকারি হাট বসে। সরকার দলীয় রাজনৈতিক দলের প্রভাব ঘাটিয়ে পৃথক চক্র নদনদীর মৎস্য সম্পদ ধ্বংস করলেও নেতারা বা স্থানীয় প্রশাসন কঠোর ভূমিকা রাখছেনা।
সচেতন মহলের মতে, চাঁদপুরে নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড মৎস্যপ্রশাসন থাকতে মৎস্য সম্পদের এমন ক্ষতি মেনে নেয়া যায় না।শীতের মওসুমে নদীর এসব পোনা নিধন বন্ধ করতে হবে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শীতের মধ্যে মশারিজাল দিয়ে নদীর বিভিন্ন প্রজাতির রেণুপোনা নিধন করে প্রকাশ্যে বিক্রি করছে।এগুলো বড় হবার সুযোগ পেলে নদীর পানি এবং মাছে সমান হতো।বারো মাসই নদীতে মাছ পাওয়া যেতো। দুস্কৃতিকারীরা নির্বিচারে মাছের এই ক্ষতি করছে। বাইল্যা মাছের পোনা ধরার জন্য স্থানীয়ভাবে একটি চক্র দুরের নৌকাসহ জেলেদের দাদনে এখানে নিয়ে আসে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়। চাঁদপুর সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম বলেন, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাস পর্যন্ত আমরা পদ্মা মেঘনায় অভিযান চালিয়ে ১৮টি মশারি জাল জব্দ করেছি। বাইল্লাসহ রেনু পোনা নিধন বন্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল হাসান বলেন, বাইল্লাসহ রেনু পোনাগুলো বড় হলে কোটি কোটি টাকায় এসব মাছ বিক্রি করে জেলেরাই উপকৃত হতো। কিন্তু সচেতনতার অভাবেই হয়তো এক শ্রেণীর জেলেরা অবাধে বাইল্লার পোনাসহ রেনু পোনা ধ্বংস চালাচ্ছে। তবে আমরা রেনু পোনা রক্ষায় নদীতে এই ধরনের জেলেদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছি।