রংপুরের পীরগাছা উপজেলার পারুল ইউনিয়নের ত্রিপুর-মুসল্লিপাড়া গ্রামের একটি সড়কের উপর কালভার্ট নির্মাণ করার ৫ দিনের মাথায় ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। নিম্নমানের কাজের অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিদের্শে গত শুক্রবার বিকেলে কালভার্টটির উপরের অংশ ভেঙ্গে ফেলা হয়। এ নিয়ে ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী পুরো কালভার্টটি ভেঙ্গে নতুন করে নির্মাণের দাবি করেন
জানা গেছে, উপজেলার পারুল ইউনিয়নের ৪, ৫, ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য রেহেনা বেগমকে ত্রিপুর-মুসল্লিপাড়া গ্রামের বেলাল হাজীর বাড়ির সামনে প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের নন ওয়েজ কষ্ট প্রকল্পের আওতায় ৫৩ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি ইউড্রেন (কালভার্ট) নির্মানের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়। সম্প্রতি তিনি ওই স্থানে নিম্নমানের ইট, খোয়া, বালি ও নামমাত্র রড দিয়ে কালভার্টটি নির্মাণ করতে থাকেন। এ সময় স্থানীয় এলাকাবাসী বাঁধা দিলেও তা শোনেন নি। পরে এলাকাবাসী পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট একটি অভিযোগ দেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পান এবং কালভার্টটি ভেঙ্গে ফেলার নিদের্শ দেন।
গত শুক্রবার বিকেলে মহিলা ইউপি সদস্যার লোকজন কালভার্টের উপরের অংশ ভেঙ্গে ফেললেও নিচের অংশ গুলো রয়ে গেছে। এলাকাবাসী বদিয়ার রহমান, মিলন চন্দ্র ও সাইফুল ইসলাম বলেন, পুরা কাজটিই নিম্নমানের করা হয়েছে। উপরে ভাঙ্গলেও নিচে ভাঙ্গা হয়নি। আমরা পুরোটা ভেঙ্গে নতুন করে নির্মানের দাবি করছি।
ওই ইউপি সদস্যা মোছা: রেহেনা বেগম বলেন, এলাকার লোকজন অভিযোগ করায় তা ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। ওই ওয়ার্ডের পুরুষ সদস্য নুর মোহাম্মদকে নতুন করে করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় পারুল ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এখন যেভাবে করার দরকার সেভাবে করা হবে।
জানতে চাইলে পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হক সুমন বলেন, কোন প্রকল্পে নিম্নমানের কাজ করার সুযোগ নেই। তাই অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত করে ভেঙ্গে ফেলার নিদের্শ দেয়া হয়েছে।