নীলফামারীর সৈয়দপুরে বেড়েছে বিভিন্ন কলকারখানা ও বাসাবাড়ির বৈদ্যুতিক সংযোগের সার্ভিস তার চুরির ঘটনা। প্রতি রাতে শহরের কোন না কোন এলাকায় চুরি হচ্ছে সার্ভিস তার। ১৭ ফেব্রুয়ারি শহরের দারুল উলুম মাদ্রাসা মোড়ে এক বাসার সার্ভিস তার চুরি করতে গিয়ে জনতার হাতে ধরা পড়ে পাশের মহল্লার এক চোর। পরে তাকে উত্তম মধ্যম দিয়ে তুলে দেয়া হয় থানা পুলিশের হাতে।
বর্তমানে সৈয়দপুরে তার চুরি আতংকে ভুগছে বিভিন্ন বাসা ও কারখানার মালিকরা। কোন ভাবে রোধ করা যাচ্ছে না তার চুরি। বেশ কয়েকজন বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি জানান, সার্ভিস তার দেয়া হয়ে থাকে বেশির ভাগ তামার। আর তামার তারের দাম অনেক বেশী। ফলে চোরের লোলুপ দৃষ্টি তামার তারের প্রতি। বর্তমানে তামার তারের দাম প্রতি গজ ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা। অপরপাশে পিতলের তারও দেয়া হয়ে থাকে। তবে পিতলের তারের দাম তামার চেয়ে ৫০ টাকা কম। তাছাড়া চোরেরা চিনে কোনটা তার তামা আর কোনটা পিতল। প্রাণ নাশের হুমকি থাকা সত্বেও চোরেরা সার্ভিস তার চুরি করে থাকে।
গত কয়েক দিনে শহরের বেশ কিছু এলাকায় তার চুরির ঘটনা ঘটেছে। কোন কোন মহল্লায় ধরাও পড়েছে কয়েকজন চোর।
বৃহস্পতিবার রাতে পৌরসভার নয়াবাজার এলাকার এ্যাডভোকেট তুষার কান্তি রায়ের বহুতল বাসভবনের দুইটি বৈদ্যূতিক সংযোগের সার্ভিস তার কেটে নিয়ে যায় চোরেরা। একইভাবে ওই এলাকার প্রকৌশলী মো. পারভেজের বাড়ির সার্ভিস তার চুরি যায়।
তার চুরি প্রতিরোধে রাতের বেলা শহর এলাকায় থানা পুলিশের টহল প্রহরা বাড়ানোর দাবি জানান অনেকে।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর প্রেসক্লাবের সহসভাপতি এম এ করিম জানান, গত সপ্তাহে আইন শৃংখলা কমিটির সভায় তার চুরির বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, তার চুরির বিষয়ে কেউ থানায় অভিযোগ দিতে আসেনা। ফলে অপরাধীরা পার পেয়ে যায়।