‘ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ান, শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমান’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিনব্যাপী জেলার পাঁচ উপজেলা ও দুটি পৌরসভায় জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে। এই কর্মসূচির আওতায় ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ২৬ হাজার ৫৩৯ জন শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল ও ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী ১ লাখ ৯৫ হাজার ২৪২ জন শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ১ হাজার ৩৫১ টি টিকাদান কেন্দ্রের ২ হাজার ৭০২ জন সেচ্ছাসেবকের সহায়তায় এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে জেলা সিভিল সার্জন অফিসের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিভিল সার্জন ডা. অনুপম ভট্টাচার্য্য।
অনুষ্ঠানে আরো জানানো হয়, শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অপুষ্টিজনিত মৃত্যু রোধকরন এবং ভিটামিন ‘এ’ এর অভাব জনিত রাতকানা রোগের প্রার্দুভাব ১ শতাংশের নীচে নামিয়ে আনার প্রচেষ্টায় সরকার জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের আয়োজন করেছে। ইতোমধ্যেই দেশে রাতকানা রোগ, অপুষ্টিজনিত শিশু মৃত্যুর হার অনেক কমে এসেছে। ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত ল্যাবরেটরীতে পরীক্ষিত। এটা শিশুর জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ। ভিটামিন ‘এ’ নিয়ে প্রচারিত গুজবে কান না দেয়ারও আহ্বান জানানো হয়। সেইসঙ্গে সকল অভিবাবককে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য ওই বয়য়ী সব শিশুকে নিকটস্থ টিকাদান কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
সিভিল সার্জন ডা. অনুপম ভট্টাচার্য্যরে সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শেরপুর সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোবারক হোসেন। এ সময় শেরপুর প্রেসক্লাব সভাপতি শরিফুর রহমান,সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিন ,শেরপুর টাইমস সম্পাদক শাহরিয়ার মিল্টন ও জেলায় কর্মরত প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।