খুলনার ডুমুরিয়ায় কতিপয় মৎস্য ঘের মালিকের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ভেড়িবাঁধ কেটে পাইপ বসিয়ে লবন পানি উত্তোলনের পায়তারার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে শংকর গাইন,বনোমালি মল্লিকের নেতৃত্বে এলাকার ভূক্তভোগী সাধারণ মানুষ প্রতিকার চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল সহকারে এলজিইডি খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলীসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে,ডুমুরিয়া উপজেলার সাহস ইউনিয়নের লতাবুনিয়া-বাঁশতলা গ্রাম দু'টি লতাবুনিয়া পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিমিটেড-এর আওতাভুক্ত। বিগত আম্ফান ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ গ্রাম দু'টির বেঁড়ি বাধের রাস্তা স্হানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কর্তৃক ৮৪ লাখ টাকা ব্যয় বরাদ্ধ করে পুনঃনির্মিত হয়। বিগত বছরে বোরো ধানের ভালো ফলন হওয়ায় এ বছরেও প্রায় ১০০ একর জমিতে কৃষকেরা বোরো ধানের চাষ করছেন। কিন্তু এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি ও মৎস্য ঘের মালিক সবিনয় রায়, অশোক কুমার ভদ্র,মোঃ আবদুর রশিদ গাজী, মোঃ জাহিদ গাজী, বরুণ মন্ডল ওই বিলে লবন পানিতে মৎস্য চাষের লক্ষ্যে অবৈধভাবে পাইপ বসানোর জন্য ভেড়িবাঁধ কেটে ফেলেছে। ইতঃপূর্বে ওই এলাকায় লবন পানিতে ঘের করা নিয়ে বিরোধে লতাবুনিয়া গ্রামের সুশান্ত রায় নামে এক ব্যক্তি কে হত্যার শিকার হতে হয় বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ঘের মালিক অশোক ভদ্র বলেন,বিগত ৩/৪ বছর যাবৎ ওই বিলে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে জলাবদ্ধতার কারণে আমরা জমি মালিকরা কোন ফসলাধি/মাছ চাষ করতে পারিনি। বেঁড়ি বাঁধ হওয়ার ফলে বর্তমান শুষ্ক মৌসুমে আমরা অন্তত ২'শ বিঘা জমির মালিক একত্র হয়ে মাছ চাষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে আমরা পানি ব্যবস্হাপনা সমিতির নেতৃবৃন্দসহ অন্যানদের কাছে বিলের স্লুইস গেট দিয়ে বর্তমান সময়ে নদীর মিষ্টি পানি তোলার দাবী জানালেও বিলের ৫০/৬০ জমির মালিকের বিরোধীতার কারণে পানি নিতে পারছিনা। যে কারণে বিকল্প ব্যবস্হা হিসেবে আমরা নদী থেকে একটি ক্যানাল খনন করে বেঁড়ি বাঁধ পর্যন্ত এনে রেখেছি। তবে বেঁড়িবাধ কেটে পাইপ বসানো এবং লবন পানি তোলার অভিযোগ সঠিক নয়'।
এ প্রসঙ্গে ডুমুরিয়া উপজেলাপ্রকৌশলী(এলজিইডি) মো: রবিউল ইসলাম বলেন, স্হানীয় পানি ব্যবস্হাপনা সমিতি বা প্রকল্পের সুফলভোগীদের সাথে আলোচনা করেই বিলে পানি উঠানো নামানোসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা তারা নিতে পারেন। বেঁড়িবাধ কেটে বা ছিদ্র করে পাইপ বসিয়ে পানি উত্তোলন করা কোনক্রমেই মেনে নেয়া হবে না।