বরগুনার বামনা উপজেলার ছোট ভাইজোড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুজেলন্দ শীল(৪২)কে ঐ বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষিকাকে গত সোমবার বিকাল পাঁচটায় প্রধান শিক্ষকের কক্ষে আপত্তিকর অবস্থায় অবরুদ্ধ করে এলাকাবাসী। পরে পুলিশের কাছে তুলে দেয়। রাত ১১টায় বামনা থানা থেকে মুসলেকা দিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) নির্মল চন্দ্র শীল তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন। এ ব্যপারে এলাকায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
ঐ এলাকার জাহাঙ্গীর চৌকিদারের এর পুত্র আল আমিন ও স্থানীয় দোকানদার হাকিম এবং মিরাজের পুত্র মেহেদী জানান, আমরা বিদ্যালয়ের মাঠে এসে দেখতে পাই বিদ্যালয়ের নিচের গেটে তালা দেওয়া এবং দোতলায় লোকজন আছে বলে টের পাওয়া যায়। পরে আমরা রেলিং বেয়ে দোতলায় উঠে প্রধান শিক্ষকের রুমের জানালার ফাঁক দিয়ে আপত্তিকর অবস্থায় প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষিকাকে দেখতে পাই। পরে প্রধান শিক্ষক আমাদেরকে দোতলায় উঠছি কেন বলে হুমকি দেয়। আমরা এই নিয়ে তার সাথে কথা বলার ফাকে মহিলা শিক্ষিকা কাপড়-চোপড় পরে পালিয়ে যায়। প্রধান শিক্ষকের সাথে বাকবিতন্ডার মধ্যে এলাকার লোকজন জড়ো হয় এবং স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ আবু সালেহ পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে প্রধান শিক্ষক সুজেলেন্দ শীলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে রাত এগারটার দিকে উপজেলা শিক্ষা অফিসার(ভারপ্রাপ্ত) নির্মল চন্দ্র শীল মুসলেকা দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।এলাকাবাসী আরও জানান তারা প্রায়ই স্কুল ছুটির পরে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে অবৈধ কর্মকা-ে লিপ্ত থাকেন। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সদস্য জসিম উদ্দিন খান ও জমিদাতা শাহিন খান বলেছেন আমরা জানতে পেরেছি, অনেক আগে থেকেই ওই হিন্দু শিক্ষক সুজেলেন্দুর সাথে মুসলিম নারী শিক্ষকের সাথে সম্পর্ক রয়েছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক( ভারপ্রাপ্ত) সুজেলেন্দু জানান, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।
এ বিষয়ে বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বশির আলম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে বামনা থানায় নিয়ে আসে। পরে উপজেলা শিক্ষা অফিসার তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে মুসলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার(ভারপ্রাপ্ত) নির্মল চন্দ্র শীল জানান আমি প্রধান শিক্ষককে থানা থেকে ছাড়িয়ে এনেছি। আমি সরেজমিনে তদন্ত করে দেখবো। সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবদুর রাজ্জাক জানান, আমি ঘটনাটি শুনেছি এবং শিক্ষা অফিসারকে প্রতিবদন জমা দিতে বলেছি, প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।