রংপুরের পীরগঞ্জে বালু মহল কে কেন্দ্র করে বিবদমান দু’দলের সংঘর্ষে ৫জন আহত হয়েছে। আহতদের পীরগঞ্জ ও নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার দুপুরে পীরগঞ্জ উপজেলার ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া সেতু সংলগ্ন দুধিয়াবাড়ী বট পাড়া মোড়ে এ ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান,ঘটনার দিন মিঠাপুকুর উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের মৃত মকবুল হোসেন এর ছেলে মর্তুজার রহমান ওরফে (হিটলার ডাক্তার), পীরগঞ্জ উপজেলার বট পাড়া মোড়ে হাছেন আলীর দোকানে চা খেতে আসে। এ সময় কয়েক জন ব্যক্তি ওই চায়ের দোকান ঢুকে উভয়ের মধ্যে বালু উত্তোলন নিয়ে কথার কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ বাঁধে। হাতে থাকা মোটরসাইকেল চাবির আঘাতে হিটলারের মাথা ফেটে যায়। এতে আরও ৪ জন লাঠির আঘাতে আহত হয়। খবর পেয়ে পীরগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌঁছে। আহত ব্যক্তিদের পরিবার জানায়,মিঠাপুকুর উপজেলার নিধিরামপুর করতোয়া বালু চরে পীরগঞ্জ উপজেলার সোহেল রানাসহ মিঠাপুকুর উপজেলার আশরাফুল, মাসুম, মাফুজার, মিলন,মানিক, আরিফুল, নাইচ,খাইরুলসহ ১৩ জন ব্যক্তি সংঘবদ্ধ হয়ে বালু উত্তোলনের পয়েন্ট তৈরী করে। এদের মধ্যে হিটলার ডাক্তার সরকারি ভাবে বালু মহলের জন্য কাগজপত্র বাবদ ১২ জন পাটনারের কাছ থেকে ২ থেকে ৩ লাখ হারে টাকা হাতিয়ে নেয়। গত ২/৩ বছরের মধ্যে এসব পাটনারদের কাছ থেকে বর্ণিত টাকাগুলো হাতিয়ে নেন তিনি। এছাড়াও প্রতিবছর এভাবেই মানুষকে লোভ দেখিয়ে তিনি নতুন নতুন করে পাটনার নেয় মর্মে অভিযোগ রয়েছে। গত কয়েকদিন থেকে হিটলারকে বাদ দিয়ে বালু বিক্রি করছে পাটনাররা। ঘটনার দিনে হিটলার তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বট পাড়া মোড়ে গাড়ি থেকে বলপুর্বক রাস্তার উপর বালু নেমে নেয়। যা ওই সংঘর্ষের প্রকৃত কারন। এ ব্যাপারে মর্তুজার রহমান হিটলার ডাক্তারের মেবাইল নম্বরে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি। খবর লেখা পর্যন্ত এ ব্যাপারে থানায় কোন মামলা দায়ের বা কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।