হত্যার সন্দেহে মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে সাংবাদিক পুত্র মুসাব্বির খান জারিফের মরদেহ তিন সপ্তাহ পরে কবরস্থান থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। মৃতের বাবা বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি ও আরটিভির জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক মোহাম্মদ আলী খান জসিমের আবেদনের ভিত্তিতে মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারকের নির্দেশে তার মরদেহ কবরস্থান থেকে উত্তোলন করা হয়।
জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আবু আব্দুল্লাহ খানের উপস্থিতিতে বুধবার বেলা ১১ টার দিকে নগরীর মুসলিম গোরস্থান থেকে মুসাব্বির খান জারিফের মরদেহ উত্তোলন করা হয়। সুরতহাল শেষে মরদেহ শেবাচিম হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মৃতের বাবা সাংবাদিক মোহাম্মদ আলী খান জসিম বলেন, চলতি বছরের গত ২৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বন্ধুদের সাথে নগরীর কাটপট্টি এলাকার নিজ বাসা থেকে মাদারীপুরে এক বন্ধুর নানা বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হয় জারিফ। এরপর একাধিকবার পরিবারের সাথে যোগাযোগ হয় এবং ২৮ জানুয়ারি জারিফ তার মাকে চলে আসার কথাও জানায়। তিনি আরও বলেন, গত ২৮ জানুয়ারি থেকে জারিফ ও তার সাথে থাকা বন্ধু বিকি’র মোবাইলে কল দেওয়া হলেও তারা কেহই ফোন রিসিভ করেনি। ২৯ জানুয়ারি বিকেলে জারিফের তিন বন্ধু দ্বীপ, ইব্রাহিম ও রাজনের দেওয়া একটি মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগের পর জানা যায় জারিফ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। পরে সেখান থেকে জারিফের বন্ধুরা বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের উদ্দেশ্যে জারিফকে নিয়ে রওয়ানা দেয়। ওইদিন সন্ধ্যায় জারিফকে শেবাচিম হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষনা করেন।
সাংবাদিক মোহাম্মদ আলী খান জসিম আরও বলেন, পরে স্বাভাবিকভাবেই জারিফের দাফন সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু সময় অতিবাহিত হলে জারিফের বন্ধুদের কাছ থেকে পাওয়া জারিফের মোবাইল খতিয়ে দেখে বিভিন্ন ছবিসহ ডাটা খুঁজে না পাওয়া, কয়েকদিন পর মোটরসাইকেল উদ্ধার হওয়ার পাশাপাশি জারিফের বন্ধুদের দেওয়া অসংলগ্ন তথ্যে জারিফের স্বাভাবিক মৃত নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়। ধারনা করা হচ্ছে জারিফকে মাদারীপুর হাসপাতালে ভর্তি করাসহ মৃত্যুর রহস্য চাঁপিয়ে রাখার পেছনে বড় ধরনের কোন অপরাধ সংগঠিত হয়েছে। এককথায় হত্যার সন্দেহে আদালতে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের আবেদন করা হয়। ময়নাতদন্তের রির্পোট পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।