রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলায় সাত শতাংশ জমি কিনে বিপাকে পড়েছেন এক কৃষক। সেই জমি দখল নিতে গিয়েই দলিল বলে জমির মালিক সাহাব আলী সহ তার লোকজনদের ওপর হামলা করেছে আবদুল খালেক ও মনোয়ার গং।
বুধবার সাড়ে এগারোটার দিকে বদরগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর নাগেরহাট বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী জানায়, আবদুল খালেকের চাচা আবদুল হালিমের নিকট থেকে সাত শতাংশ জমি ক্রয় করেন লোহানীপাড়া ইউনিয়নের মাধাই খামার এলাকার সাহাব আলি। কিন্তু ওই জমি জবরদখল করে নেয় মনোয়ার ও খালেক গং। তার জমি জবরদখলে বাধা দিতে গেলে তাকে মারপিট করে। এ খবর সরিয়ে পড়লে সাহাব আলীর গ্রামবাসীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাহেব আলীকে মারামারি করার ঘটনাটি জানতে চাইলে পূর্ব পরিকল্পিত অনুযায়ী মনোয়ার এবং খালেকের লোকজন লোহার রড, লাঠি ও ধারালো ছোরাসহ জমির মালিক সাহেব সহ তার উপরে হামলা চালায়। এ সময় সাহেব আলীর লোকজনকে বেধরক মারপিট করে। সংঘর্ষ চলাকালে সময়ে গণমাধ্যম কর্মীরা ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিকদের ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালায় খালেকসহ তার ভাড়াটিয়া লোকজনেরা। স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, খালেক মনোয়ার গং পাছা বছরখানেক আগে সংখ্যালঘু শিবু সাহা, কাশিনাথ গুপ্ত, ও সাবেক ইউপি সদস্য নবাব আলীসহ অনেকের জমি জবর দখল করে নিয়েছে। খালেক ও মনোয়ার ও তাদের লোকজনের নিক্ষেপ করা ইটের আঘাতে এক পথচারীর মাথা ফেটে রক্তাক্ত হয়েছে। এ ঘটনায় বদরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিয়েছে ভুক্তভোগী সাহাব আলী। এদিকে হামলার পর থেকে চর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে সাহাব আলী ও তার পরিবার।