গাজীপুরের কাপাসিয়ায় জমি বিরোধের জেরে ২১৫ টি সুপারি গাছ কেটে ফেলেছেন প্রতিপক্ষ। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। উপজেলার তরগাঁও ইউনিয়নের তরগাঁও গ্রামে ঘটেছে এ ঘটনা। ভুক্তভোগী এ বিষয়ে মঙ্গলবার কাপাসিয়া থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন বলে জানান থানা পুলিশ।
অভিযোগকারী আমজাদ হোসেন লিখিত অভিযোগ ও সাক্ষাৎকারে উল্লেখ করে বলেন, অভিযুক্তদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল তাদের এই বিষয় নিয়ে মাঝেমধ্যে তাদের সাথে কথা কাটাকাটি হতো সোমবার দিন সন্ধ্যায় অভিযুক্ত কফিল উদ্দিনের সাথে বাড়ির পাশের মুদি দোকানে আমজাদ হোসেন কে বলেন তুই 'মামলা করেছিস ভালো করেছিস। ৩০ হাজার টাকা দিবি না হলে তোর আরো বেশি ক্ষতি সাধন করিব।' ওই রাতেই সাড়ে দশটার দিকে কফিল উদ্দিনসহ ৩ থেকে ৪ জন মিলে ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমার বাড়ির পশ্চিম পাশের বাগানে ২৫০ টি সুপারি গাছের মধ্য থেকে ২১৫ টি সুপারি গাছ কেটে ফেলে দেয় এতে আমার প্রায় ২৫ লাখ টাকার ক্ষতি হযেছে। এর আগেও দুইবার আমার দুটি বাগানের ৯৫টি মালটা, ৪টি আতাফল ও ৭৫টি পেঁপে গাছ কেটে ফেলে আমার ক্ষতি সাধন করে। পূর্বের গাছগুলো কেটে ফেলার ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ করেছি সেই অভিযোগের চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার রাতে পুনরায় আমার সুপারি বাগানের গাছগুলো কেটে ক্ষতি সাধন করেন।
কয়েক জন প্রতিবেশীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, এই ঘটনা তারা সকালে শুনেছেন এবং গিয়ে দেখেছেন। সুপারি বাগানে সুপারি গাছগুলো কারা যেন কেটে ফেলে দিয়েছে। এর আগেও তাদের দুইটি বাগানের বিভিন্ন ফল ফলাদির গাছের কেটে ফেলেছিল। এই ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগও করেছে এবং সেটি এখন আদালতে রয়েছে।
অভিযুক্ত নুরুল ইসলামের ছেলে আমিনুল ইসলাম বলেন, মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই ঘটনাটি আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। কে বা কারা এ গাছ কেটে ফেলেছে তা আমাদের জানা নেই। আমার বাবা এই ধরনের কোন কাজ করতে পারে না। আমার বাবা কখনো কারো এক টাকার ক্ষতি করেনি। আমজাদ হোসেনের ছেলে এলাকায় মাদক ব্যবসা করে। মাদক ব্যবসার নিয়ে তাদের উপর কেউ শত্রুতা করতে পারে।
এ বিষয়ে কাপাসিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম নাসিম জানান, সোমবার রাতের ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ এ ঘটনার তদন্ত করছে। এর আগেও এরকম একটি ঘটনার অভিযোগ করেছিল। সেই ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট আদালতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।