কাহারোল উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠে মাঠে চলছে বোরো ধানের পরিচর্যার কাজ এ ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। বোরো চাষের শুরুতেই বিভিন্ন উপকরণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এবার বোরো চাষের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে বিঘা প্রতি ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় ৫হাজার ৪শত ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। লক্ষ্য মাত্র ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন কৃষি বিভাগ। গত বছরের তুলনায় এবার বোরো চাষের কৃষি উপকরনের দাম বেড়েছে। তবে বাস্তবতা হচ্ছে একসঙ্গে সবকিছুর দাম বৃদ্ধিতে এবারের বোরো মৌসুমের কৃষককে বেশি সমস্যায় পড়তে হয়েছে। গতকাল উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের ইশ^র গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ সালেম উদ্দীনের সঙ্গে কথা বলে যানা গেছে এবছর বোরো চাষের সব উপকরণের দাম বেশি থাকায় বোরো চাষে উৎপাদন ব্যায় বেড়ে যাচ্ছে বিঘা প্রতি ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। একই ইউনিয়নের কৃষক মোফিজ উদ্দীন বলেন বোরো ধান লাগানোর পর থেকেই লোড শেডিং শুরু হয়েছে। লোড শেডিং এর কারণে সময়মত বোরো জমিতে পানি সেচ দেওয়া যাচ্ছে না। তিনি বলেন আমি এবার ১৫ বিঘা জমিতে বোরো ধান রপন করেছি। যে হারে বিভিন্ন উপকরণের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে করে বোরো চাষে খরচ বেড়ে গেছে। ধানের দাম বেশি না পেলে উৎপাদন খরচ উঠবে না। একই গ্রামের কৃষক ওসমান বলেন, এবার তিনি ৩বিঘা জমিতে বোরো চাষ করেছেন। এখন চলছে পরিচর্যার কাজ। তিনি বলেন বরো চারা কেনা জমি প্রস্তুত, চারা রোপন সব ক্ষেত্রেই গতবছরের তুলনায় বেশি টাকা খরচ হয়েছে। জমি তৈরিসহ শ্রমিক খরচ বেড়েছে সব মিলিয়ে চারা রোপন করতে খরচ হয়েছে প্রায় চার হাজার টাকা। গতবছর খরচ হয়েছিল ৩জাহার টাকা। আরো অন্যান্য খরচ এখনো বাকি রয়েছে। ডহন্ডা গ্রামের কৃষক আরিফুল জানান গত বোরো মৌসুমে বিসা প্রতি জমিতে সেচ খরচ ছিল ২হাজার টাকা। এবার বেরে হয়েছে ২৫০০টাকা। এ ছাড়া জমি তৈরি ৮০০টাকা থেকে এবার বেরে হয়েছে ১৪০০টাকা। সবকিছু মিলে উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। কাহারোল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মল্লিকা রানি শেহানবীশ বলেন, গতবারের চেয়ে বোরো মৌসুমে এবার উৎপাদন খরচ কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও বোরো ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি ও দাম বেশি পেলে কৃষকেরা বোরো ধানের উৎপাদন খরচ বাদে লাভের মুখ দেখবেন বলে আশা করছেন। তিনি বলেন কৃষি বিভাগের পক্ষ হতে কৃষকদের বোরো উৎপাদনে সকল প্রকার সহযোগীতা ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।