বিস্ফোরক আইনের মামলায় পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহবায়কসহ ৬ নেতা-কর্মীকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পিরোজপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালত। পিরোজপুর জেলা ছাত্রলীগ নেতা আবু নাঈম এর দায়ের করা মামলায় আজ বৃহষ্পতিবার বেলা ১১টায় জেলা ও দায়রা জজ মোহা. মুহিদুজ্জামান তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কারাগারে প্রেরণকারীরা হলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন, সাবেক সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম খান, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ রিয়াজ উদ্দিন রানা, পিরোজপুর সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি নাসির উদ্দিন মল্লিক, জেলা যুবদলের ত্রাণ ও পূণর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক রিয়াজ শিকদার, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন তালুকদার কুমার।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২২ এর ২৪ ডিসেম্বর সকাল ১১টার দিকে পিরোজপুর শহরে জেলা ছাত্রলীগের একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি পিরোজপুর কালেক্টরেট স্কুলের মুল গেটে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা আসা বিএনপি-জামায়াতের একটি মিছিল মুখোমুখি হয়। এ সময় ছাত্রলীগ কর্মীদের হত্যার উদ্দেশ্যে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেনের নির্দেশে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শেখ রিয়াজ উদ্দিন রানাসহ অন্য আসামিরা তাদের ওপর বোমা হামলা করে। পরে বিএনপি-ছাত্রলীগের মধ্যে শহরের পোস্ট অফিস সড়কে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ২৪ ডিসেম্বর রাতেই এ ঘটনায় বিএনপি নেতা কর্মীদের আসামি করে পিরোজপুর সদর থানায় বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা করা হয়। ওই মামলায় হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নিয়ে বৃহস্পতিবার বিএনপির ১০ জন নেতাকর্মী পিরোজপুর জেলা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেনসহ ৬ নেতা-কর্মীর আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গাজী ওয়াহিদুজ্জামান লাভলু বলেন, জেলা বিএনপির আহবায়কসহ মোট ৬ জনকে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন ঘটনার দিন ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিএনপির মিছিলে বিনা উস্কানীতে হামলা চালিয়ে আমাদের অন্তত ২০ নেতা-কর্মীকে আহত করে এবং জেলা বিএনপি অফিসে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে উল্টো জেলা বিএনপির আহবায়কসহ অর্ধ শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এই মামলার কোন ভিত্তি নাই। আমরা এই সরকারের আদালতে আটক নেতাদের মুক্তি চাই না। আমরা মুক্তি চাইবো এ দেশের জনগনের আদালতে।