শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নয়াবিল নাকুগাঁও গ্রামের স্থল বন্দর এলাকার প্রতিরোধ যোদ্ধা রুসমত আলীর ১৪৬ শতাংশ জমি বেদখলের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে প্রতিরোধ যোদ্ধা রুসমত আলীর নামজারির সমস্ত কাগজপত্র থাকা সত্বের প্রভাবশালীদের দখলে থাকা জমি তা দখল মুক্ত করতে পারছেন না। এজন্য প্রতিরোধ যোদ্ধা রুসমত আলী সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নিকট একান্ত সহযোগিতা কামনা করেছেন।
অভিযোগপত্রের সূত্রে জানা গেছে, শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও স্থলবন্দর এলাকার প্রতিরোধ যোদ্ধা রুসমত আলীর ১৪৬ শতাংশ ভূমি গত ২৫ বছর ধরে প্রতিবেশি তিনজন প্রভাবশালী ব্যাক্তি বেদখল করে আছে। এরা হল নাকুগাঁও গ্রামের মোঃ জয়নাল আবেদিন (৭০), মোঃ শামুসল হক (৬৮) ও মোঃ রহুল আমিন (৬৫)।
প্রতিরোধ যোদ্ধ রুসমত আলী বলেন, আমি বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদকারী সংসগঠন প্রতিরোধ যোদ্ধা পরিষদের শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার প্রতিবাদকারী একজন যোদ্ধা ও গরীব সাধারন কৃষক। আমরা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। অত্র এলাকায় আমার নামীয় ১৪৬ শতাংশ ভূমির খাজনা খারিজসহ সকল কাগজপত্র আমার হাতে। এখন এই জমি একই এলাকার প্রভাবশালী তিনজন ব্যাক্তি জোড় পূর্বক বেদখল করে রেখেছে। তাদের বৈধ কোন কাগজপত্র নেই। তার পরেও তারা এই জমির মালিকানা দাবি করে। আমাকে আমার জমিতে যেতে দেয় না। আমাকে সরকার ১০/১১/২২ইং এ নামজারি প্রদান করেছে এটি তারা মানতে নারাজ। উল্টো তারা একের পর এক অভিযোগ করেই চলেছে। এখন বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্বেও তাদের দাপটে আমি আমার জমিতে যেতে পারছি না। আমার কথা হল, আমি বৃদ্ধ বয়সে এ জমি জিরাত নিয়ে আর কলহ চাই না। আইন মোতাবেক আমি আমার জমি বুঝে পেতে চাই। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা গরীব অসহায় মানুষের দয়াল। পরম আশ্রয়স্থল ও ভরসার জায়গা। আমি প্রতিরোধ যোদ্ধা হিসাবে জীবনের এই শেষ সময়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর একান্ত সহযোগিতা কামনা করছি।