জেলার মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার বাহাদুর গ্রামে গভীর রাতে দরজা ভেঙ্গে যুবতীকে অপহরণ করে ধর্ষন করার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ধর্ষককে দুটি ধারায় যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছেন বিচারক।
তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে মঙ্গলবার সকালে ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারি হুমাউন কবির বলেন, আসামির অনুপস্থিতিতে সোমবার শেষ কার্যদিবসে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ইয়ারব হোসেন ওই রায় ঘোষনা করেন। বেঞ্চ সহকারি আরও বলেন, রায়ে ধর্ষনের ঘটনায় যাবজ্জীবন কারাদ- ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অপহরনের ঘটনায় ১৪ বছরের কারাদ- ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তবে উভয় কারাদ- একসাথে চলমান থাকায় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদ- এবং জরিমানার টাকা গুনতে হবে। দন্ডপ্রাপ্ত আসামি একই গ্রামের বাবুল মাতুব্বর ওরফে জসিম। রায় ঘোষনাকালে আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে বেঞ্চ সহকারি বলেন, ২০১২ সালের ৮ জুন আসামি বাদীর ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে ধারালো অস্ত্রের মুখে বাদীর মেয়েকে অপহরণ করে। এ সময় বাদীর স্ত্রী বাঁধা দিলে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়। এ ঘটনায় নির্যাতিতার বাবা বাদী হয়ে মেহেন্দীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মেহেন্দীগঞ্জ থানার এসআই লোকমান হোসেন দীর্ঘ তদন্তকালীন সময় ভোলা থেকে অপহৃতাকে উদ্ধার করেন। মামলায় আটজনের সাক্ষগ্রহন শেষে বিচারক উল্লিখিত রায় ঘোষনা করেন।