দাকোপে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জড়িয়ে দৈনিক ইত্তেফাক ও তথ্যে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে উপজেলা বাসীর উদ্যোগে বিশাল মানবন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় উপজেলা সদর চালনা ডাকবাংলার মোড়ে চালনা পৌরসভার মেয়র সনত কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এবং যুবলীগনেতা রতন মন্ডলের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন দাকোপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান বিনয় কৃষ্ণ রায়। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন চালনা পৌর আ.লীগের সভাপতি শেখ শফিকুল ইসলাম আক্কেল, উপজেলা আ’লীগনেতা ও কামারখোলা ইউপি চেয়ারম্যান পঞ্চানন মন্ডল, ইউপি চেয়ারম্যান সুদেব কুমার রায়, ইউপি চেয়ারম্যান শেখ সাব্বির আহমেদ, চালনা এম এম কলেজ অধ্যক্ষ অসীম কুমার থান্দার, খুলনা জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য কে,এম কবির হোসেন, চালনা পৌরসভার প্যানেল মেয়র শেখ মেহেদী হাসান বুলবুল, কাউন্সিলর চয়ন সাহা, নাসিমা বেগম, নারীনেত্রী কণিকা বৈরাগী, লিপিকা বৈরাগী, বিথিকা রায়, আ’লীগনেতা হিমাংশু সরকার, জি এম রেজা, আব্দুল্লাহ আল মাসুম, বিধান বিশ্বাস, আলামিন হোসেন, ধ্রুব কান্তি রায়, সঞ্জিব রায়, মিল্টন সাবষ্টিন মন্ডল, সুশংকর বাছাড় চিকন, তপন মন্ডল, জি এম ফারুক হোসেন, পাবক মিস্ত্রি, উৎপল মন্ডল, গোবিন্দ রায়, জয় প্রকাশ রায়, ননী গোপাল মাঝী, নজরুল ইসলাম, বিপ্রদাস মন্ডল, রাজু বাছাড়, এমদাদুল হক মিলন, দেপাঞ্জন রায়, উৎপল মন্ডল, প্রসেনজিত বিশ্বাস, বিপ্লব মন্ডল, লুৎফর রহমান গাজী, মিঠুন বিশ্বাস প্রমুখ। সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, দাকোপের বর্তমান নির্বাহী অফিসার মিন্টু বিশ্বাস মাদক ও বাল্য বিয়ের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহন করে দাকোপের ক্রীড়া উন্নয়নে উল্লেখ যোগ্য অবদান রেখেছেন। তিনি যাদের দূর্ণীতি অনিয়ম এবং নিয়োগ বাণিজ্যের পথে বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছেন তারাই স্থানীয় এক সাংবাদিককে ম্যানেজ করে এমন মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করিয়েছে। সংবাদে অভিযোগকারী চালনা কেসি কলেজের অধ্যক্ষ অচিন্ত্য মন্ডল নিজ কলেজে নিয়ম বহিঃভূত কমিটি গঠন করে অতীতের ন্যায় দূর্ণীতির আখড়া বানাতে চায়। এ কাজে সহযোগীতা না করায় সেই দূর্ণীতিবাজ হয়েছেন অভিযোগকারী। কালীনগর গোবর্ধন চন্দ্র মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বেরী কয়াল যিনি নিজেই বিতর্কিত চরিত্রের অধিকারী। স্কুল পরিচালনা কমিটির নির্বাচনে নিজ প্যানেল সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় অবৈধভাবে সদস্য বানানোর চেষ্টা চালায়। আর ওই অনৈতিক কাজে নির্বাহী অফিসার সহায়তা না করায় এখন তিনি তার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ আনছেন। স্কুলের আগামীর নিয়োগ বাণিজ্য নিশ্চিত করতে বেরী কয়াল নানা কল্প কাহিনি তৈরী করছেন। বক্তারা প্রকাশিত ওই সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক নির্বাহী অফিসারের বক্তব্য না নিয়ে ওই সংবাদ প্রকাশ করে প্রকাশিত সংবাদ এবং নিজেকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। তিনি প্রমান করেছেন বিশেষ ওই মহলের ইন্ধনে এমন সংবাদ। বক্তারা দাকোপের উন্নয়নে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে নির্বাহী অফিসারের পাশে থাকার কথা বলেন।