যখন তখন অফিসের বস আপনাকে হোয়াটসঅ্যাপে, ফেসবুক মেসেঞ্জারে বা ইনবক্সে মেসেজ করছেন। অপনাকে কী পরলে ভালো লাগে, অফিসে তেমন পোশাক না পরে গেলে কটূক্তি করেন, ব্যঙ্গ করেন। সুযোগ বুঝে কখনও গায়ও হাত দেন। অস্বস্তি প্রকাশ করলে বা সরে দাঁড়াতে বললে ইচ্ছাকৃত অপনার সামান্য থেকে সামান্য ভুল বা ভুল না থাকলেও আগের কোনো কথা টেনে অপমান করেন। অকারণে কাজের চাপ দেন আপনার ওপর। এমন ধরনের সমস্যার কারণে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবেন অনেকেই।
কিন্তু তাতেই ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে? চাকরি না ছেড়ে কীভাবে সামলাবেন- সে বিষয়ে সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ পূর্বাশা মুখোপাধ্যায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসকে যেসব বিষয় জানিয়েছেন:
কাজ ছেড়ে দেওয়া কোনো কাজের কথা নয়। আপনি শিওর যে নতুন জায়গায় গিয়ে এক সমস্যায় পড়বেন না? তার থেকে সমস্যার মুখোমুখি হন। কাজের জায়গায় সুস্থ পরিবেশ থাকা ভীষণই জরুরি। না থাকলে, কেউ জেনে বুঝে আপনাকে উত্ত্যক্ত করলে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। মনে রাখবেন আপনার যিনি রিপোর্টিং বস, তারও বস আছেন।
ফলে প্রথমে বুদ্ধি করে তার থেকে নিজের দূরত্ব বজায় রাখুন। সামনে যখন কেউ থাকবে আর উনি আপনার গায়ে হাত দেবেন, একটু জোরেই বলুন যে আপনি পছন্দ করেছেন না বিষয়টা। কেবল অস্বস্তি প্রকাশ করলে হবে না। নিষেধ করতে শিখুন কঠিনভাবে। বস বিভিন্ন সময় আপনাকে যে মেসেজ পাঠান, সেটার স্ক্রিনশট তুলে রাখুন। স্ক্রিনশট নিতে না পারলে অন্য ফোনে ছবি তুলুন। এরপর যথা জায়গায় কমপ্লেন করুন। ভয় পাবেন না। উনি আপনার কেরিয়ারের ক্ষতি করবে এই ভয় পেয়ে এটা সয়ে যাবেন না।
আগে পদক্ষেপ নিন। তারপর কাজ বদলের সুযোগ তো থাকলই। সেটার খোঁজ এখন থেকে শুরু করে দিন।