কবি ও আবৃত্তিশিল্পী প্রদ্যোত রায় বলেছেন, যুগাবতার হয়ে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম পাললিক ভূখন্ড আমাদের বাংলাদেশে যত মহামানব এসেছেন কবি সুকান্ত তাদের মধ্যে অন্যতম। তিনি কেবল একজন কবিই নন, তিনি একজন অনন্য ত্রাতা। তিনি নিপিড়ীত মানবতার মুক্তির জন্য সর্বস্ব উজাড় করে দিয়েছেন।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় ৫দিনব্যাপী কবি সুকান্ত মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে জেলা প্রশাসক কাজী মাহাবুবুল আলম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে মেলার উদ্বোধন করেন।
এ সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ^াস, উপজেলা নির্বাহী অফিসাস ফেরদৌস ওয়াহিদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ, কোটালীপাড়া পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র মতিয়ার রহমান হাজরা, অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন সরদার, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লক্ষ্মী সরকার, শেখ হাসিনা আদর্শ সরকারি মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিলীপ ভাবুক,উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মিজানুর রহমান বুলবুল, প্রেসক্লাবের সভাপতি মিজানুর রহমান বুূলু, উদীচী কোটালীপাড়া শাখার সভাপতি অশোক কর্মকার, কবি মিন্টু রায়, শিক্ষক হাবিবুর রহমান মুকুল উপস্থিত ছিলেন।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন এ মেলাটির আয়োজন করেছেন। মেলাটি চলবে আগামী রবিবার পর্যন্ত।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের আদর্শকে বর্তমান যুব সমাজের মাঝে ছড়িয়ে দিতে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। আশা করি এই মেলার মধ্যে দিয়ে কিছুটা হলেও কবি সুকান্ত ভট্রাচার্য্যকে বাঙ্গালি জাঁতি বা আগামী প্রজন্মের কাছে আমরা তুলে ধরতে পারবো।
উল্লেখ্য: ১৯২৬ সালের ১৫ আগস্ট কবি সুকান্ত ভট্রাচার্য্য কলিকাতার কালীঘাটের মহিমা হালদার স্ট্রিটে মামা বাড়ীতে জন্ম গ্রহণ করেন। তার বাবার নাম নিবারন ভট্রাচার্য্য। মাতা সুনীতি দেবী। ১৯৪৭ সালের ১৩ মে মাত্র ২১ বছর বয়সে মৃত্যু বরণ করেন। ছাড়পত্র, ঘুম নেই, পূর্বাভাস, অভিযান, হরতাল- তার উল্লেখ যোগ্য কাব্যগ্রন্থ। কবির প্রতিটি কবিতায় অনাচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ধ্বনিত হয়েছে।